জয়পুরহাটে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে গম চাষ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে এবারো বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কম খরচ দাম ভালো থাকায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে জয়পুরহাটের কৃষকদের। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি গম চাষ হয়েছে জেলায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২১-২২ রবি মৌসুমে হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষ হয়েছে হাজার ৩৮৬ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে হাজার ৪১৫ টন গম।

এখানে মোট কৃষি জমির ৮০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেন কৃষক। কিন্তু আলুর দাম ঠিকমতো না পাওয়ায় জয়পুরহাটের কৃষকরা এখন গম চাষে ঝুঁকছেন। জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলার মধ্যে পাঁচবিবি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি গম চাষ হয়েছে হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে।

গম চাষীরা জানান, আলু তোলার পর মাঠে ইরি-বোরো আবাদে প্রচুর পানি থাকায় গম আবাদে অসুবিধা হয়। এজন্য গম চাষ কম হয়। এবার আলু চাষ কিছুটা কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে গম চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী গ্রামের কৃষক সজীব আহম্মেদ, বাবু, হাসান, আতোয়ার, পাঁচবিবি উপজেলার মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ধানের জমির মাঝে গম আবাদে অসুবিধা হয়। তাই উঁচু জমিতে প্রতি বছরই আমরা গম আবাদ করি।

সেচসহ অন্যান্য উৎপাদন খরচ কম, তুলনামূলক রোগবালাইও কম এবং গম তুলে সরাসরি অন্য যেকোনো ফসল চাষ করা যায়। ফলে গম আবাদে তাদের আগ্রহ বাড়ছে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাটের মাটি বেলে দো-আঁশ হওয়ায় গম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অন্যান্য ফসলের তুলনায় গম চাষে খরচ কম দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের এখন গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

চলতি মৌসুমে গম চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় চলতি রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনকে ২০ কেজি গমবীজ এবং এর সঙ্গে কৃষি উপকরণ হিসেবে সার ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন