১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার স্মারকসহ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো নিয়ে গঠিত ‘চলমান জাদুঘর’ ঘুরে দেখলেন বিদেশী সেনা কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সিনিয়র ডিরেকটিং স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল এম ময়েনুল হকের নেতৃত্বে গতকাল তারা পায়ে হেঁটে এসব স্থান পরিদর্শন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় গণহত্যার ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সাল থেকে ‘চলমান জাদুঘর’ কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস)।
সিজিএসের গবেষণা সহযোগী জিএম আরিফুজ্জামান জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নারকীয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মর্যাদা আদায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ কাজ করে যাচ্ছে।
বিদেশী সেনা কর্মকর্তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ঘটনা ও স্থান সম্পর্কে তুলে ধরেন মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত।
সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের স্থান থেকে বিদেশী অতিথিদের পরিদর্শন শুরু হয়। একে একে একাত্তরের শহীদ ১৯৫ জন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীর তালিকা সংবলিত স্মৃতি চিরন্তন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ডাকসু সংগ্রহশালা ঘুরে দেখার পর মধুর ক্যান্টিনে কিছুক্ষণ কাটান তারা।
এর আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, জাতিসংঘ মিশন প্রধান মিয়া সেপো, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান ও আইএমএফ প্রধান জয়েন্দু ডি এই চলমান জাদুঘর ঘুরে দেখেন।