চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতির অবনতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে কভিড-১৯ পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে কভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল চট্টগ্রাম জেলায় নতুন করে ২৯৬ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সময় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার কভিডে আক্রান্ত হয়েছিল ২৬০ জন, সময় সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রামে গত বছর চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী হাসপাতাল থেকে ফেরত যায়। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে রোগী সামলাতে বড় ধরনের সংকটের সম্মুখীন হবে হাসপাতালগুলো।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, বুধবার ২২২ জন, মঙ্গলবার ২০৭ জন সোমবার ১১৯ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত লাখ হাজার ১৮৮ জনের দেহে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নগরীর ৭৫ হাজার ৬১৪ জন উপজেলার ২৮ হাজার ৫৭৪ জন। কভিডে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে হাজার ৩৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর ৭২৫ জন উপজেলার ৬১০ জন।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে কভিড রোগীর জন্য সাধারণ শয্যা রয়েছে হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯৫০টি এবং বেসরকারিতে ৬৫০টি। হাসপাতালগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে ২৬টিতে এবং সরকারি ৪৭টিসহ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে ১৭১টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে রোগীদের ৮০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া যায়। কভিডে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দরকার হয়। এখন হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সচল আছে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৯২টি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের ২৬টিই চালু রয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে কভিডের পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। শুক্রবার (গতকাল) চট্টগ্রামে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। তিন-চার দিন আগেও সেটা - শতাংশ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে কভিড সংক্রমণ বাড়ছে। আমরা চট্টগ্রামের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নতুন করে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি, যাতে কেউ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন