ঝালকাঠিতে মৃত্যু সনদে তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৪

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির রাজাপুরে মৃত্যু সনদে তারিখ নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর এলাকায় ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুরের মৃত আবদুল রশিদ খানের ছেলে মো. সেকেন্দার আলী খান, মো. সেকেন্দার আলী খানের চার ছেলে মো. রিয়াদ, মো. ইমন, ইব্রাহীম, মো. ইমরান হোসেন, আমজেদ আলীর ছেলে মো. সালেক, মৃত মীর মকবুল আলীর ছেলে মো. মীর মন্টু, মজিবর হাওলাদারের স্ত্রী হামিদা, মো. হামিদ হাওলাদারের ছেলে মো. সবুজ, মো. শাহআলম হাওলাদারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শামিম হাওলাদারের ছেলে মো. সাকিব, মো. দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী রুবি বেগম, মো. হামেদ হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম, মো. মোকাম্মেল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহবুব চিশতী মাসুদ, মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল হাওলাদার।

স্থানীয়রা জানায়, মুজাহার আলী হাওলাদারের মৃত্যু সনদ চেয়ে গালুয়া ইউনিয়নে আবেদন করেন শামীম হাওলাদার। ওই ব্যক্তির মৃত্যু তারিখ ঠিক নয় বলে একই এলাকার সেকেন্দার আলী খান আপত্তি দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে মৃত্যুর সঠিক তারিখ নির্ধারণ করতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পশ্চিম গালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে উপস্থিত থাকতে নোটিস করেন গালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান।

নোটিস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় লোকজনসহ সেকেন্দার আলী শামিম স্কুলে উপস্থিত হন। সময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সেকেন্দার আলী তার প্রতিপক্ষ শামীমদের পথ আটকে দাঁড়ান। খবর পেয়ে দুই পক্ষের লোকজন ছুটে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চারজনকে ভর্তি করেন।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্ররায় বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন