নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের ১৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইট-ট্রানজিট বাতিল করেছে হংকং। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলংকার নাম রয়েছে। কভিড বিধিমালায় আরোপিত নতুন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে হংকং। এতে অতিঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ-এ-এর তালিকায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের নাম রয়েছে। তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের ভ্রমণকারীদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে সব যাত্রীবাহী ফ্লাইট হংকংয়ে অবতরণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ দেশগুলোতে গত ২১ দিনে যেসব ব্যক্তি অন্তত ২ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন, হংকংয়ের অ্যান্টিভাইরাস ভ্রমণ ব্যবস্থার আওতায় তাদের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করা হবে। যারা গত ২১ দিন কভিড বিধিমালায় নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা দেশগুলোয় অবস্থান করছেন তাদের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী স্থানান্তর ও ট্রানজিট পরিষেবাগুলো স্থগিত করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, হংকং এ মুহূর্তে স্থানীয় মহামারী পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির হুমকির সম্মুখীন। ঝুঁকি কমাতে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ নির্দেশনা রোববার থেকে পরবর্তী এক মাস কার্যকর থাকবে।
অবশ্য নিজেদের নাগরিকদের জন্য কিছুটা শিথিলতা দিয়েছে হংকং। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রুপ-এ-এর তালিকায় থাকা দেশগুলোতে ২১ দিন অবস্থানরত বাসিন্দাদের দেশে ফেরার আগে দুই ডোজ টিকা নিতে হবে অথবা টিকা নেয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে। উড়োজাহাজ ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। দেশে ফিরে নির্ধারিত হোটেলে তিন সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ আরো বেশ কয়েকটি নিয়ম পালনের বিষয় উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মূলত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হংকং।
