পৌষসংক্রান্তিতে মৌলভীবাজারে মাছের মেলা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে বসে দেশীয় প্রজাতির মাছের মেলা। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘটে তাজা মাছের মেলায়। তবে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় সদর উপজেলার শেরপুরে এবারো হয়নি ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। করোনায় বিধিনিষেধের কারণে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার, ভানুগাছ, শমসেরনগর, সদর উপজেলার শেরপুরসহ বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে আসেন। রাতব্যাপী এসব মেলায় বেচাকেনা ছিল জমজমাট। স্থানীয় হাওর, নদী খামারে উৎপাদিত বড় সাইজের বাগাড়, রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল ওঠে মেলায়। পাইকার আর খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে শীতের রাতে সরগরম হয়ে উঠেছিল এসব মাছের মেলা।

ব্যবসায়ী স্থানীয়রা জানান, পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে সদর উপজেলার শেরপুরের কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম পাড়ে মাছের মেলার ইতিহাস প্রায় দেড়শ বছরের। তবে গত বছরের মতো এবারও করোনা বিধি-নিষেধের কারণে মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে মেলা না বসলেও শেরপুর বাজার মাছের আড়তে ছিল জমজমাট বেচাকেনা।

শ্রীমঙ্গল মুন্সিবাজারের মাছের মেলায় গিয়ে দেখা যায়, জেলা এবং জেলার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় দেশী প্রজাতির মাছ নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের পাশাপাশি মাছ দেখতে উত্সুক মানুষের ভিড়ও ছিল মেলায়।

শ্রীমঙ্গল বাজারে সবচেয়ে বড় দুটি বাগাড় মাছ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী হাফিজ আহমেদ। বড় বাগাড় মাছের ওজন ৭৫ কেজি এবং ছোটটির ওজন ৪৫ কেজি। দাম হাঁকেন লাখ ২০ হাজার এবং ছোটটির ৯০ হাজার। হাফিজ আহমেদ বলেন, ভৈরব থেকে মাছ দুটি কিনে এনেছেন। মেঘনা নদীর মাছ বলে দাবি করেন তিনি।

ক্রেতারা জানান, বাজারে তাজা ভালো মাছ আছে তবে দাম কিছুটা বেশি। তবে ছোট মাছের দাম অন্য সময়ের মতোই। মাঝারি আকারের মাছের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

মাছের দাম কিছুটা বেশি জানালেন ব্যবসায়ীরাও। চাহিদার তুলনায় মাছের জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন তারা।

শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মুন্সিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান জানান, বছর কয়েক কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়েছে। কভিডের বিধিনিষেধের কারণে লোক সমাগম তুলনামূলক কম, না হলে বেচাকেনা বেশি হতো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন