কোটি পাউন্ডের বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাজ্য ও ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসেছে যুক্তরাজ্য ভারত। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। চুক্তি দুই দেশের মধ্যে কোটি কোটি পাউন্ডের পণ্য বাণিজ্যকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর এপি।

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে আলোচনার প্রথম দিন শেষে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূস গয়াল এবং যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান-ম্যারি ট্রেভেলিয়ান বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কিছু চুক্তি সম্পন্ন হবে।

ট্রেভেলিয়ান বলেন, গত কয়েক দশকব্যাপী চলে আসা দুই দেশের পারস্পরিক উন্নয়নের সম্পর্ককে আরো চাঙ্গা করতে সুযোগটা আমাদের গ্রহণ করতেই হবে।

ব্রিটেনের মতে, চুক্তির ফলে ভারতে ব্রিটিশ পণ্যের রফতানি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে দুই দেশের বাণিজ্য বেড়ে বছরে হাজার ৮০০ কোটি পাউন্ডে দাঁড়াবে। ২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে হাজার ৩০০ কোটি পাউন্ডের বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছিল।

তবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার অভিজ্ঞতা খুব বেশি সুখকর নয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এমনকি ভবিষ্যতেও কেউ তা নিয়ে আশা দেখছেন না। অবস্থায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এমন আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলতি বছরে ব্রিটিশ সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।

২০৫০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি দশকে যুক্তরাজ্য ভারতের বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে বলেই প্রত্যাশা দেশটির সরকারের। ট্রেভেলিয়ান ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনাকে একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন এবং এটি গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অনেক বড় বাণিজ্যিক পুরস্কার মিলবে বলেও মনে করেন তিনি। কিন্তু ভারত তাদের অনেক বেশি নিহিত দুর্বল স্বার্থগুলো সংরক্ষণের জন্য উদারীকরণে বরাবরই অনিচ্ছুক।

ভারতের সঙ্গে অর্থপূর্ণ চুক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সেখানেও তারা প্রায় অসফল। অস্ট্রেলিয়াও একটি চুক্তি করার জন্য এক দশক ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের সরকারি ক্রয়নীতি এবং পরিষেবা বাণিজ্যগুলো বিশেষভাবে কঠিন। ভারত চায় ব্রিটেনে আরো বেশি ভারতীয় কাজের বসবাসের সুযোগ পান এবং যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাজ্যগামী ভারতীয় শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীদের জন্য নিয়ম-কানুন শিথিল করা এবং ফি কম করা নিয়ে আলোচনা থাকতে পারে।

পীযূস গয়াল বলেন, বাণিজ্য চুক্তির জন্য উভয় দেশই এগুলো জরুরি শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করবে না। তাই চুক্তি ভঙ্গ হওয়ার কিছুই থাকছে না। সংবেদনশীল বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার না দেয়ার বিষয়ে আমরা একমত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন