এয়ার ফ্রান্সের টিকিটে যুক্ত হচ্ছে জৈব জ্বালানির সারচার্জ

বণিক বার্তা ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারলাইনস জৈব জ্বালানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকে এরই মধ্যে জ্বালানির ব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু প্রচলিত জ্বালানির তুলনায় জৈব জ্বালানি ব্যয়বহুল হওয়ায় তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা চাপ তৈরি করেছে। অবস্থায় গ্রাহক পর্যায়ে টিকিটের দামের সঙ্গে জ্বালানির সারচার্জ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম। খবর রয়টার্স।

চলতি মাসেই টিকিটের সঙ্গে জ্বালানির সারচার্জ যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১২ ইউরো বা ১৩ দশমিক ডলার যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এয়ার ফ্রান্স জানিয়েছে, ইকোনমি বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য আলাদা পরিমাণের সারচার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের দূরত্বভেদে থেকে ইউরো এবং বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের দেড় থেকে ১২ ইউরো সারচার্জ দিতে হবে। বিষয়ে গ্রাহকদের আলাদা বার্তাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এয়ার ফ্রান্সের নেদারল্যান্ডসের অংশীদার কেএলএম স্বল্পমূল্যের উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা ট্রানস্যাভিয়ার যাত্রীদেরও সারচার্জ দিতে হবে।

টেকসই জৈব জ্বালানির সঙ্গে শূন্য দশমিক শতাংশ থেকে শতাংশ পর্যন্ত কেরোসিন ব্যবহার করার কথাও জানিয়েছে এয়ার ফ্রান্স। জৈব জ্বালানি বা সাসটেইনেবল এভিয়েশন ফুয়েল (এসএএফ) মূলত তৈরি করা হবে ব্যবহূত রান্নার তেল অথবা কৃষিজ বা বনজ বর্জ্য থেকে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে এয়ারলাইনসগুলোর কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ৭৫ শতাংশ কমবে।

মুহূর্তে এয়ারলাইনসগুলোর মোট খরচের ২০-৩০ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খাতে। সেখানে এসএএফ প্রচলিত জ্বালানির চেয়ে চার থেকে আট গুণ বেশি ব্যয়বহুল। ফলে ব্যয় সামাল দিতে চাপের মুখে পড়েছে এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম।

২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান বলছে, এভিয়েশন খাতে যে ৩৬ হাজার কোটি লিটার জ্বালানি ব্যবহূত হয়, তার মাত্র শূন্য দশমিক শতাংশ জৈব জ্বালানি। এখনো যে খুব বেশি পরিমাণে এর ব্যবহার বেড়েছে তা বলা যাবে না। তবে এয়ার ফ্রান্সের প্রত্যাশা সব এয়ারলাইনস জৈব জ্বালানি ব্যবহার শুরু করলে এর দাম কমবে। তখন বড় পরিসরে এর উৎপাদন শুরু হবে এবং একসময় সেটির দাম সব প্রতিষ্ঠানের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন