সরাইলে ডেপুটেশনের ভারে কাহিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

বণিক বার্তা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য থাকায় ডেপুটেশন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে অফিস কার্যক্রম। সপ্তাহে কাজ চলে মাত্র ১ দিন, তাই দলিল নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকদের অপেক্ষা করতে হয় বাকি দিনগুলো। দলিল জটের কারণে সিরিয়ালের প্রতিযোগিতায় ঘাম ঝরে লেখকদের। সহস্রাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় অফিসের অভ্যন্তরে ও বাইরে লেগেই থাকে। কার্যত কাহিল হয়ে পড়েছে সরকারি এ কার্যালয়টি।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধুলোবালি আর তীব্র শীত উপেক্ষা করে দলিল নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাজের জন্য অপেক্ষা করে আছে বহু নারী পুরুষ। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার ফলে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কাজ চলেছে সরাইলের এ কার্যালয়ে। এদিনও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে।

জানা গেছে, সরাইলের এ খাত থেকে বছরে সরকারের রাজস্ব আসছে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। অথচ গত দুই মাস ধরে সরাইলে স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার নেই। ফলে দলিল নিবন্ধনের জন্য লেখক, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

কর্মকর্তার অভাবে মাসের পর মাস ধরে একটা সরকারি অফিস অকার্যকর হয়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় দলিল লেখক ও ক্রেতা-বিক্রেতারাও এ অবস্থার দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অনেকের জরুরি চিকিৎসা, বিদেশ গমন, বিয়ে, জমির নকল উত্তোলন আটকে আছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সিরিয়ালে দাঁড়াতে বলা হয়। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কোনো সময় দিন পেরিয়ে যায়। আবার কোনো সময় লাইন পেলেও কাজ হয় না।

সম্প্রতি এ খণ্ড জমি কিনে দিনের পর দিন দলিল করাতে পারছেন না রব মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, জমির দলিল লেখা শেষ, বিক্রেতাকে টাকাও পরিষোধ করে ফেলেছেন। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের অভাবে নিজ নামে দলিল করাতে পারছেন না।

এ অফিসের সংশ্লিষ্টরা জানান, সাব-রেজিস্ট্রার পদায়ন ও বদলি হয় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে। তাই মন্ত্রণালয়ের সুনজর ছাড়া ভোগান্তি লাঘব সম্ভব নয়।

বিষয়গুলো নিয়ে কথা হলে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আরিফুল হক মৃদুল বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে জানানো হবে। আশা করছি এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সরকার দ্রুত শূন্য পদে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন