খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

স্থাপন হচ্ছে ৭৫ কিলোওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে ভবনের ছাদে সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপিত হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন বিদ্যুৎ খরচ বাঁচবে তেমনি কার্বন নিঃসরণ কমবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এস এম মনিরুজ্জামান পলাশ জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনের ছাদে বছরে ৭৫ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম প্যানেল বসানো হবে। ব্যাপারে কারিগরি সহায়তা দেবে স্রেডো (সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)

পলাশ জানান, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সৌর প্যানেল বসানোর পর তার ২৫ বছর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে। দশ বছরের মাথায় কেবল একটি ইনভার্টার পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরো জানান, লক্ষ্যে এরই মধ্যে স্রেডো একটি সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট প্রদান করেছে। সে ভিত্তিতে নেট মিটারিংয়ের ব্যাপারে ওজোপাডিকোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ব্যবহার ছাড়াও জাতীয় গ্রিডে দেয়া হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অর্থ হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে বছরে প্রায় ৫০০ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল অন্যান্য বড় স্থাপনার ছাদেও সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি জানান, সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে গ্রিন এনার্জি উৎপাদনের ওপর যে গুরুত্বারোপ করেছেন এবং ২০৪১ সালের যে অভিলক্ষ্য ঘোষণা করেছেন সে বিষয়টি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সময়ের অনেক আগেই এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ের প্রথমেই অভিলক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন