ফাইভজির নেতিবাচক প্রভাব কমাতে আলোচনায় এফএএ

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহারে উড়োজাহাজে ব্যবহূত অ্যাল্টিমিটারের মতো সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি প্রভাবিত হতে পারে ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস

উড়োজাহাজে ব্যবহূত সংবেদনশীল বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ওপর ফাইভজি ওয়্যারলেস প্রযুক্তির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বিষয়ে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সংস্থা ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও করেছে এফএএ। খবর রয়টার্স।

১৯ জানুয়ারি চালু হতে যাওয়া ফাইভজি প্রযুক্তির সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সতর্কবার্তায় এফএএ জানায়, ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উড়োজাহাজে ব্যবহূত অ্যাল্টিমিটারের মতো সংবেদনশীল যন্ত্রপাতিগুলো প্রভাবিত হতে পারে। এর আগে এটিঅ্যান্ডটি ভেরাইজন কমিউনিকেশন জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হাজার কোটি ডলারের সি-ব্যান্ড স্পেকট্রাম জিতে নেয়। পরবর্তী সময়ে তদারকি সংস্থার অনুরোধে প্রতিষ্ঠান দুটি দুই সপ্তাহের জন্য ৫০টি বিমানবন্দর এলাকায় ফাইভজি পেছাতে রাজি হয়।

বাফার জোন ঘোষণার ফলে আগামী ছয় মাস ওইসব বিমানবন্দরের কাছে ফাইভজি নিয়ন্ত্রণে রাখবে এটিঅ্যান্ডটি ভেরাইজন। ফাইভজি চালু অবস্থায় উড়োজাহাজ নিরাপদে চালানো যায় কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মহল।

নোটিস টু এয়ার মিশনস নামে পরিচিত এফএএর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিগুলোয় ফাইভজি প্রযুক্তি স্থাপিত এলাকায় অপরীক্ষিত অ্যাল্টিমিটারযুক্ত উড়োজাহাজ অথবা যেসব উড়োজাহাজ রিট্রোফিটিং অথবা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন সেগুলো লো-ভিজিবিলিটি ল্যান্ডিংয়ে অক্ষম শীর্ষক বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরই মধ্যে ৩০০টিরও বেশি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এফএএ। এর মধ্যে অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিনিয়ত মেডিকেল হেলিকপ্টার ব্যবহূত হয় এমন সব বিমানবন্দর হাসপাতালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি এফএএ।

ওয়্যারলেস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রান্সমিটার লোকেশন-সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এসব তথ্য প্রাথমিকভাবে ফাইভজি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করবে বলে জানায় এফএএ। তাছাড়া বেশ কয়েকটি রানওয়েতে লো-ভিজিবিলিটি কন্ডিশনে উড়োজাহাজগুলো কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ল্যান্ডিংয়ে সক্ষম হবে।

কিছু বিজ্ঞপ্তিতে ফাইভজি স্থাপনের ফলে উল্লেখযোগ্য বিমানবন্দরগুলো কীভাবে প্রভাবিত হবে সে বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মিয়ামি ফনিক্সের মতো বেশকিছু বিমানবন্দরে জিপিএস-গাইডেড পদ্ধতি ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছে এফএএ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহূত ফাইভজি সি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোন রাডার অ্যাল্টিমিটার ব্যবহার নিরাপদ হবে সে বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহে বাফার জোন তৈরিতে নির্ধারিত ৫০টি বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় তাতে বিঘ্ন ঘটা, ব্যবহারকারীর পরিমাণ বেড়ে গেলে কাজে ব্যাঘাত ঘটা, খারাপ আবহাওয়ার দিনে অবস্থানভেদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সমস্যা সমাধানে বাফার জোন তৈরি করা হচ্ছে।

যে ৫০টি বিমানবন্দরকে বাফার জোনের আওতায় আনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডালাস লাভ ফিল্ড, শিকাগোর হেয়ার, উত্তর নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, অস্টিন, নাশভিলে, হাস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, সিয়াটল সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর। আগামী ছয় মাস এসব বিমানবন্দরে বাফার জোনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। সময় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে। ফাইভজি চালু অবস্থায় উড়োজাহাজ পরিচালনায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটিও দেখা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন