নজিরবিহীন বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন নজিরবিহীনভাবে বাড়তে পারে। ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলনের কারণে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে। ফলে চলতি বছর পণ্যটির চাহিদা কমে আসার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে উত্তোলন বাড়ায় রফতানিতে শীর্ষ দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক শীর্ষক এক প্রতিবেদনে তথ্য জানা গেছে।

ইআইএর প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন হাজার ৬০৪ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে। আগামী বছর উত্তোলন আরো বেড়ে হাজার ৭৫৫ কোটি ঘনফুটে পৌঁছবে। সদ্যবিদায়ী বছর দেশটি হাজার ৩৫১ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করেছে।

সংস্থাটি আরো জানায়, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র সব মিলিয়ে হাজার ২৭৭ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করবে। গত বছর ব্যবহারের পরিমাণ ছিল হাজার ২৯৬ কোটি ঘনফুট। সে হিসাবে ব্যবহার কমবে। তবে আগামী বছর ব্যবহারের পরিমাণ আবারো বেড়ে হাজার ২৮৪ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে। বিশ্লেষকরা জানান, ২০১৯ সালে মার্কিন মুলুকে হাজার ৫২৯ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার হয়েছিল।

ইআইএর প্রক্ষেপণ সত্য হলে প্রায় চার দশকের মধ্যে এটিই হবে প্রথমবারের মতো টানা তিন বছর ধরে চাহিদা কমার ঘটনা। এর আগে ১৯৮৩ সালে টানা চার বছর ধরে নিম্নমুখী ছিল পণ্যটির চাহিদা।

এজেন্সির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি হাজার ১৫৪ কোটি ঘনফুটে পৌঁছবে। এর মধ্য দিয়ে রফতানিতে নতুন রেকর্ড গড়বে দেশটি। আগামী বছর রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে হাজার ২১৩ কোটি ঘনফুট এলএনজি রফতানি করা হবে।

এদিকে এলএনজি রফতানিতে শীর্ষ কাতার অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নেতৃস্থানীয় দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতিসহ আগামী বছরগুলোয়ও অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে দেশটি।

তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ লাখ গৃহস্থালির জন্য প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসই যথেষ্ট। সে হিসাবে দেশটির স্থানীয় ব্যবহারের পর বড় পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির জন্য উদ্বৃত্ত থেকে যায়। ২০২৫ সাল নাগাদ শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার সক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সময়ের মধ্যে কাতারের দক্ষিণাঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্র সম্প্রসারণ শেষে কার্যক্রম শুরু করতে সক্ষম হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে সংশ্লিষ্টরা যদি নতুন নতুন এলএনজি রফতানি প্লান্ট তৈরি করে, তবে কাতার ঘুরে দাঁড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলতে পারবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন