বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমেছে

টানা ছয় কার্যদিবস পর সূচকে ফের পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা ছয় কার্যদিবস উত্থান ধরে রেখেছিল দেশের পুঁজিবাজার। সময়ে সূচকে ২৫৬ পয়েন্ট যোগ হয়। তবে সপ্তাহের শুরুর দিনে গতকাল আবারো সূচকে পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ৫৫ পয়েন্ট কমেছে। সূচকের পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেনও কমেছে। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদরও। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক লেনদেন উভয়ই কমেছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া টানা উত্থানের কারণে দর বৃদ্ধি থাকায় বেশি বেশি লাভের আশায় অনেকেই শেয়ার বিক্রি করছেন, যা সূচকের পতনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাজার ৯৮৭ পয়েন্ট নিয়ে গতকাল লেনদেন শুরু করে ডিএসইএক্স। লেনদেন শুরুর প্রথম তিন মিনিট সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়। সময়ে সূচকে ৪২ পয়েন্ট যোগ হয়। তবে এর পর থেকেই সূচকে উত্থান-পতন অব্যাহত থাকে। শেষ পর্যন্ত দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে দিনশেষে সূচক হাজার ৯৩২ পয়েন্টে দাঁড়ায়। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি আজিয়াটা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি) ডেল্টা লাইফের শেয়ার।

অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিনশেষে প্রায় পয়েন্ট কমে হাজার ৪৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ৪৭২ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৩ পয়েন্ট কমে গতকাল হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৬০৩ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২৪৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩২টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বিবিধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে জীবন বীমা খাত। দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক ১০ শতাংশ। বস্ত্র প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশ করে। গতকাল অধিকাংশ খাতে ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে। সবচেয়ে বেশি ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে সেবা খাতে, দশমিক শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ভ্রমণ খাত। খাতটির রিটার্ন ছিল দশমিক শতাংশ। আইটি খাতে রিটার্ন এসেছে দশমিক শতাংশ। অন্যদিকে পেপার খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক ২০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চামড়া খাত। খাতটির রিটার্ন ছিল দশমিক শতাংশ। পরের দুটি খাত হলো সিরামিক পাট। খাত দুটির রিটার্ন হয়েছে যথাক্রমে দশমিক দশমিক শতাংশ।

অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল প্রধান সূচক সিএসসিএক্স সূচক ১১২ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১২ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৯৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে মোট ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৪১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন