তালিকাচ্যুতির আবেদন

বিএসইসির অনুমোদন পেল বেক্সিমকো সিনথেটিকস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজার থেকে এক্সিট বা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য করা বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে গতকাল তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গত বছরের শেষের দিকে বিএসইসির কাছে আবেদন করে বেক্সিমকো সিনথেটিকস। এজন্য কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারধারীদের হাতে থাকা সব শেয়ার কিনে নেয়ার ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বর্তমানে কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩টি শেয়ার রয়েছে। এসব শেয়ার কিনে নেয়ার মাধ্যমে বাজার থেকে কোম্পানিটি বেরিয়ে যাবে।

পুঁজিবাজার থেকে স্বেচ্ছায় তালিকাভুক্তি প্রত্যাহা?রের জন্য ২০২০ সালেও বিএসইসির কাছে আবেদন করেছিল ওষুধ রসায়ন খাতের কোম্পানিটি। কিন্তু তালিকাচ্যুতির সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এত দিন প্রক্রিয়াটি আটকে ছিল। এরপর বিএসইসির পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এক্সিট পরিকল্পনা করা হয়। তবে তালিকাচ্যুতির আবেদন গ্রহণ করে ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন স্থগিত রাখার জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়। এর পর থেকেই দফায় দফায় কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল টাকা ৪০ পয়সা। তবে এক্সিট পরিকল্পনার নিয়ম অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে এখন অভিহিত মূল্য বা ১০ টাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কিনে নিতে হবে। সেই হিসাবে শেয়ার কিনতে কোম্পানিটিকে ৫৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।

ড্রন টেক্সচারড ইয়ার্ন (ডিটিওয়াই) নামে এক ধরনের পলিয়েস্টার সুতা উৎপাদন বিক্রির জন্য ১৯৯০ সালের ১৮ জুলাই যৌথ মূলধন কোম্পানি ফার্মসমূহের পরিদপ্তর- পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় বেক্সিমকো সিনথেটিকস। ১৯৯৩ সালের নভেম্বর যথাক্রমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির কার্যক্রম ছিল একক পণ্য অর্থাৎ ডিটিওয়াই ঘিরে। তখন যেহেতু ডিটিওয়াইয়ের ব্যাপক চাহিদা ছিল ফলে কোম্পানিটিও ভালো মুনাফা অর্জন করে এবং ১৯৯৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করেছে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি।

২০১৩ সাল থেকে কোম্পানিটি খুবই কঠিন সময় পার করতে থাকে। সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও কোম্পানি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উৎপাদন বা মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় তাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন