সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৯ টাকা ৯০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৮২ টাকা ৪০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর কোম্পানিটির মোট ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার লেনদেন হয়। ১২ ডিসেম্বর যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯০টিতে। আর সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির মোট ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৯১টি শেয়ার লেনদেন হয়।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয় ছিল ১ টাকা ২৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যেখানে আয় ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৪ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।