পড়শীর কণ্ঠে মীনা কার্টুনের সেই গান

সায়মা শারমিন

সাবরিনা এহসান পড়শী

আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে, আমি বড় হই সকলের ভালোবাসা নিয়ে... মিষ্টি গান আমরা কোথায় শুনতে পাই তা নিশ্চয়ই সবার জানা। তার পরও বলছি, সবার প্রিয় মীনা কার্টুনের গান এটি। কার্টুন ছবির প্রতিটি পর্বের শেষে বেজে ওঠে গানটি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় মেয়েশিশুদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে নির্মিত হয়েছিল মীনা কার্টুন। কার্টুন ছবির জন্য নব্বইয়ের দশকে গানটি লিখেছিলেন ফারুক কায়সার আরশাদ মাহমুদ। এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন টিনা সানি সুষমা শ্রেষ্ঠা। জনপ্রিয়তার কারণে এটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদও করা হয়।

এবার গানকে নতুন আঙ্গিকে নিয়ে আসছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। নতুন ভার্সনে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী সাবরিনা এহসান পড়শী। গানের সংগীতায়োজন করেছেন গায়ক-সংগীত পরিচালক ইমরান মাহমুদুল। মূল শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন ভার্সনে গানটির কথা সুরের কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।

মীনা কার্টুনের গানটি গাওয়া সম্পর্কে পড়শী বণিক বার্তাকে বলেন, নতুন করে গান গাওয়ার জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয় ইউনিসেফ বাংলাদেশ। কথাবার্তা ঠিক হওয়ার পর গানটা করলাম। এখন থেকে মীনা কার্টুনের থিম সং হিসেবে গানটি যাবে। আমার ছোটবেলার নির্মল বিনোদনের উৎস ছিল মীনা কার্টুন। এবার কার্টুন ছবির সেই গানটি শিশুরা আমার কণ্ঠে শুনতে পাবে, বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগছে। আশা করি, নতুন ভার্সনটিও সবাই পছন্দ করবেন।

প্রায় এক যুগ আগে এক রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে উঠে আসেন কণ্ঠশিল্পী পড়শী। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোর বিচারক হয়েছেন। বিচারক হয়ে কোন দিকগুলো খেয়াল রাখছেন সে সম্পর্কে তিনি বলেন, রিয়েলিটি শোর যারা প্রতিযোগী, তারা প্রত্যেকেই ভালো গান করেন। কেউ একটু বেশি ভালো গান করেন, কেউ কম। আবার এর মধ্যে ব্যতিক্রমও আছে, যেমন অনেকে গান শেখেননি, তারা শুধু গান করে গেছেন। শোর নাম ইয়াং স্টার তাই সবকিছু মিলিয়ে আমরা যে ব্যাপারগুলো খেয়াল করছি, ইয়াং স্টারকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে সে রকম কাউকে খুঁজে বের করার। আমরা যারা বিচারক আছি, প্রত্যেকের প্রধান ফোকাস হচ্ছে সব ধরনের গান গাইতে পারায় পারদর্শী হতে হবে। সাধারণত যেটা হয়ভালোর মধ্যে বেস্টটা খুঁজে বের করা। সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছি।

সামনে নতুন কয়েকটি গান নিয়ে আসছেন পড়শী। এগুলো মুক্তি পাবে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি অথবা শেষ দিকে। আজ সোমবার মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২১-এর অনলাইন অনুষ্ঠানে আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে গানটি মুক্তি পাবে। ইউনিসেফ বাংলাদেশ পড়শীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এবং ইউটিউব চ্যানেলে এটি আপলোড করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন