বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কূটনৈতিক পর্যালোচনা

মো. তৌহিদ হোসেন

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকেই দুদেশের রাজনৈতিক দলের ভূমিকা দেখেন। মনে করা হয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর ভারতে কংগ্রেস সরকার থাকলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভালো থাকে। এটা কিছুটা সত্য, তবে সর্বৈব সত্য নয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা সুসম্পর্ক সবসময়ই ছিল। আমরা জানি, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ভালো ইকুয়েশন ছিল। আবার মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং প্রণব মুখার্জি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় নেতৃত্বের একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। সেটা একটা দিক। তবে বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে গেলে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে কংগ্রেস শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি। একটা অস্থায়ী গঙ্গা পানি চুক্তি প্রথম হয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর ক্ষমতা হারানোর পর যখন জনতা পার্টি ক্ষমতায় এলো। আবার গঙ্গা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি যে চুক্তি হয়েছে তখনও কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় নেই। তিনবিঘা দিয়ে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলে যেতে দিনে ঘণ্টার প্রথম যে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়, সেটিও হয়েছে রাজীব গান্ধীর শাসনামলের পর। আইকে গুজরালের সঙ্গে হাইকমিশনার ফারুক চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল খুব ভালো। নির্বাচনের আগে তিনি আমাদের হাইকমিশনারকে কথা দিয়েছিলেন, যদি তাদের দল জিতে তাহলে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া মোটামুটি নিশ্চিত। তিনি বলেছিলেন, তিনবিঘা নিয়ে তারা দ্রুত সুপ্রিম কোর্টে হিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা করবেন এবং এক হিয়ারিংয়েই সমস্যাটা সমাধান হবে। তিনি তার কথা রেখেছিলেন। কিন্তু এর পূর্ববর্তী ১৮ বছরে বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই, যখন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো থাকলে কখনো কখনো কাজ অনেক সহজ হয়, তবে তাতে যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। আর কংগ্রেসের বাইরের সরকার এলেও যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়, সেটিও সত্য নয়।

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাত্রাটা একটু খতিয়ে দেখা যাক। আমাদের চরম দুর্দিনে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সূচিত হয়। আমাদের দেশের মানুষ তখন গণহত্যার সম্মুখীন। সে অবস্থায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। ভারত তাদের আশ্রয় দেয়। এরপর মুক্তিবাহিনীর সংগঠনও ভারতেই তৈরি হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে খানিকটা দ্বিধা ছিল কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। কিন্তু দেশটি দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা বাংলাদেশের সশস্ত্র সংগ্রামে সহায়তা করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা দেয়া শুরু হয়। তাদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ সবই হয় ভারতে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত এভাবেই।

মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। তখনো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে বঙ্গবন্ধু এবং ইন্দিরা গান্ধীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে খানিকটা দ্বন্ধ ছিল। ইন্দিরা গান্ধী সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করতেন। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধু খুব স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন। কিন্তু সম্পর্ক তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে গঙ্গার পানি নিয়ে ভারত বাংলাদেশের প্রতি কোনো সহমর্মিতা প্রদর্শন করেনি। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজনগুলো উপেক্ষা করেছে ভারত।

সম্পর্ক খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে, যখন জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসে। গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে একটা সাময়িক চুক্তি তখন সই হয়। এরশাদের আমলে মূল সমস্যা ছিল ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে। ভারতীয়রা এর ভালোই সুযোগ নিয়েছে। যেমন গঙ্গা চুক্তির যে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল তাতে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দেয়া হয়েছিল। এরশাদ তাতেই রাজি হয়ে যান।

আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নানা দিক আছে। রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আছে। রাজনৈতিক সম্পর্ক যদি কখনো সমস্যার সম্মুখীনও হয়েছে, অন্যান্য ক্ষেত্রে কম-বেশি অগ্রগতি অব্যাহত থেকেছে সবসময়। যখন হয়তো রাজনৈতিক পর্যায়ে অত ভালো সম্পর্ক ছিল না, তখনো কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি হতে থেকেছে। এমনকি বিএনপি যখন ক্ষমতায়, যদিও বিএনপি রাজনীতির এক ধরনের ভিত্তি ছিল ভারতবিরোধিতা, তখনো কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। বাংলাদেশে ভারতের রফতানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বিএনপির সময়।

তবে কতগুলো বিষয় কখনই সমাধান হয়নি, তার মধ্যে একটা হলো সীমান্ত হত্যা। এটা কখনই বন্ধ হয়নি। এছাড়া কতগুলো ঘটনাও ঘটেছে যা নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে। যেমন সিলেটের পেরদুয়া থেকে শুরু করে কুড়িগ্রামের রৌমারী পর্যন্ত যেসব সীমান্ত সংঘাত ঘটেছে, সেটা অনভিপ্রেত। যদিও তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, তবু এক ধরনের তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু দুই পক্ষ মিলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা মেটাতে পেরেছে। বিএনপি যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতের একটা বড় অভিযোগ ছিল যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশ সহায়তা দিচ্ছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সমস্যার সমাধান করে দেয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারতের আরেকটা প্রয়োজন ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ট্রানজিট, সেটিও বাংলাদেশ দিয়েছে।

দীর্ঘদিনের আরেকটি সমস্যাও ভারতের কারণে আটকে ছিল। সেটি হলো স্থলসীমা নিষ্পত্তি। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির পরপরই তা রেটিফাই করেছিল, কিন্তু ভারত রেটিফাই করেনি। অবশেষে ৪২ বছর পর বর্তমান সরকারের আমলে রেটিফাই করে একটু পরিবর্তিত আকারে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। তবে এটাকে যেভাবে বিশাল অগ্রগতি বলে চিত্রিত করা হয়, সেটি সঠিক নয়। সমস্যা ছিল অল্পকিছু মানুষের, যারা সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি সাতচল্লিশে বা একাত্তরে, তাদের দুর্ভোগ দূর করা। মানুষগুলোর যে দুর্দশা, যেটি ভারতের কারণেই প্রলম্বিত হয়েছে, সেটিকে অবশেষে সমাধান করা হয়েছে। এর পরও সীমান্তে অবশ্য এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। যেমন চুক্তি অনুযায়ী ভারত এখনো মুহুরীচরে সীমানা নির্ধারণ করেনি। আর বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বেসামরিক মানুষ হত্যা তো অব্যাহত রয়েছেই।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু অভিযোগ আছে ভারতের অসহযোগিতা বা খানিকটা বদান্যতার অভাব নিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ আশা করেছিল, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে ৩০ বছরের জন্য গঙ্গা চুক্তি সই হয়েছিল, এবার অন্তত তিস্তা চুক্তি সই হয়ে যাবে কিন্তু সেটি হয়নি। এটা বাংলাদেশের মানুষের মনে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ভারতের চাহিদাগুলো পূরণ করছে, কিন্তু বাংলাদেশের চাহিদাগুলো পূরণ হয়নি।

যেমন ট্রানজিটের ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছে, কিন্তু নেপাল থেকে কোনো ট্রাক এলে সেটি ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে না। এগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অস্বস্তিকর উপাদান হিসেবে রয়ে গেছে। আমি মনে করি, এখানে ভারতীয় নেতৃত্বের কিছুটা প্রজ্ঞার অভাব আছে। বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের কথাবার্তায়ও অনেক সমস্যা আছে। ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ নেতৃত্ব বাংলাদেশীদের সম্পর্কে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে। এছাড়া আসামের নাগরিকপঞ্জি ভারতের নাগরিকত্ব আইনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা জানি না, এগুলোর সমাধান কবে হবে। বাংলাদেশের একটা বড় সমস্যা রোহিঙ্গা। ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি। এটি এদেশের মানুষের বড় মর্মপীড়ার কারণ।

মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা কোনো দিনই শেষ হবে না। আজকে যে সমস্যাগুলো আছে কাল সেগুলো যদি সমাধানও হয়ে যায়, নতুন ইস্যু আসবে। এটা অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতি বা প্রগতি কোনোটিই স্থবির কিছু নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের ক্ষোভের কারণ হলো, আমরা যতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ভারতের চাহিদাগুলো পূরণ করেছি, আমাদের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ভারত সেভাবে এগোয়নি। তার পরও রাজনৈতিক ভৌগোলিক বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে। সত্যি কথা বলতে কি, ভারতকেও আমাদের সঙ্গে সুসস্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে, তাদের নিজেদের স্বার্থেই।

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুদেশের একটা সুসম্পর্ক বিরাজমান। তবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের উদ্বৃত্ত নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি কখনো এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ হই না। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য তো ব্যক্তি খাতের হাতে। তারা ভারত থেকে কারণে আমদানি করে না যে তারা ভারতকে ভালোবাসে। সেখান থেকে আমদানি করে কারণে, ভারত থেকে আমদানি তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক। এতে তাদের খরচ কম পড়ে, সময় কম লাগে ইত্যাদি। কাজেই এটা নিয়ে ক্ষোভের কিছু নেই। ক্ষোভ যা নিয়ে আছে তা হলো কেন একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হচ্ছে না? বাংলাদেশ যতই রফতানি করুক না কেন কখনই ভারতের বাজারে তা বড় কোনো আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারবে না। ক্ষোভটা হলো বিভিন্ন অশুল্ক বাধা দিয়ে ভারতে আমাদের যেটুকু রফতানির সম্ভাবনা আছে, সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। ভারতের পণ্যঝুঁড়ি অনেক বড়। আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য বা উপকরণই সেখানে পাওয়া যায়। আমাদের বিপরীতে তাদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত থাকবে, এটা অস্বাভাবিক নয়। কথা হলো, বাংলাদেশের সুযোগটা যেন বহাল রাখা হয়। যেটুকু সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের সেটিকে যেন ক্ষতিগ্রস্ত করা না হয়।

গত ১০ বছরে রেল, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতের অর্থায়নের একটা ধারা শুরু হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে প্রবণতা দেখা যায়নি। এখন ভারতের অর্থনীতি বড় হয়েছে, তাদের আর্থিক সামর্থ্য এবং সক্ষমতা বেড়েছে। মনে রাখতে হবে, একটা দেশ যে সহায়তা দেয়, তাতে তাদের নিজেদের স্বার্থও থাকে। শুধু বদান্যতা দেখানোর জন্য সহায়তা দেয় না কেউ। চীন, পশ্চিমা দেশ কিংবা ভারত সবার ক্ষেত্রেই কথা খাটে। ভারতের দিক থেকে কমবেশি বিলিয়ন ডলারের মতো ক্রেডিট লাইন আছে, যা শুরু হয়েছিল মনমোহন সিংয়ের সময়। তবে এক্ষেত্রে অগ্রগতি খুব একটা ভালো নয়, যার অন্যতম কারণ শর্তাবলি। এসব শর্ত শুধু কঠিনই নয়, ক্ষেত্রবিশেষে অবাস্তবও। নির্মাণ প্রকল্পে ইট-বালি-সিমেন্ট যদি ভারত থেকে আনতে হয়, তাহলে সেটি কীভাবে সম্ভব? বাংলাদেশে তো এসব নির্মাণ উপকরণ আছে এবং অনেক কম খরচে তা সরবরাহ করা সম্ভব। যে কারণে সরাসরি ক্রয়ের বিষয় যেখানে আছে যেমন, বাস বা ট্রেনের বগি আমদানি করা, শুধু সেসব ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে। এগুলো যেহেতু  তৈরি অবস্থায় ভারত থেকে আসে, সেহেতু অনেক সহজেই এই লেনদেন করা সম্ভব।

সার্বিক বিচারে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় আছে। তবে তা আরো ভালো করা সম্ভব। যে অন্তরায়গুলো আছে, সেগুলো দূর করা সম্ভব, যদি ভারত আরেকটু বিচক্ষণ এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আর সে সঙ্গে শব্দচয়নে ভারতের নেতারা যদি আরেকটু সাবধান হন।

 

মো. তৌহিদ হোসেন: সাবেক পররাষ্ট্র সচিব

শ্রুতলিখন: হুমায়ুন কবির

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন