সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়েই সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষ করেছে দেশের পুঁজিবাজার। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট কমেছে। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদরও। তবে সূচক কমলেও এক্সচেঞ্জটির লেনদেন বেড়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমেছে, বেড়েছে লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর প্রথম ২ মিনিট সূচকে পয়েন্ট যোগ হয়। এর পর থেকেই সূচক দ্রুত নিম্নমুখী হওয়া শুরু করে। একপর্যায়ে শেয়ার বিক্রির চাপে বড় পতনের মধ্য দিয়েই ডিএসইএক্স দশমিক ৯২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৯২০ পয়েন্টে দাঁড়ায়। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। সূচকের পতনে সবচেয়ে ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। অন্যদিকে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র, বিবিধ ও প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপে ঋণাত্মক রিটার্ন এসেছে।
অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিনশেষে ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল ১ হাজার ৪৭৫ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৮ পয়েন্ট কমে গতকাল ২ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৬৩২ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ২৪২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। প্রকৌশল খাতের দখলে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে ১১৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১২ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৯৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১৯৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে মোট ৪৩ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৩৯ কোটি টাকা।
