ব্যবসা ও বিনিয়োগ

বাংলাদেশে কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করছে মার্কিন কোম্পানি জিই

মেহেদী হাসান রাহাত

বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশে পদচারণা শুরু যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) প্রথমদিকে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থায়ন প্রযুক্তি সরবরাহ করত তারা। বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটি সেখানেও প্রযুক্তি অর্থায়ন করে। বর্তমানে সামিট করপোরেশন, ইউনিক গ্রুপ রিলায়েন্সের মতো কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে জিইর। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য, এভিয়েশন, তেল, গ্যাস যোগাযোগ খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৌশলগত অবস্থান আরো বিস্তৃত করছে মার্কিন কোম্পানি জিই।

২০১৯ সালে জিইর সঙ্গে ২২ বছরের জন্য ৫৮৩ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ মেরামতের জন্য চুক্তি করে সামিট করপোরেশন। রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ারের নির্মাণাধীন ৭১৮ মেগাওয়াট সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উন্নত প্রযুক্তির গ্যাস টারবাইন সরবরাহের চুক্তি করে জিই। সর্বশেষ বছর রিলায়েন্সের বিদ্যুকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ ডিজিটাল সমাধান প্রদানে ২২ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জিই। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাণিজ্য বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা বলছেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়ছে। আরো বাড়বে। দেশটির অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী হিসেবে এতদিন শুধু শেভরনের নামই উচ্চারণ হলেও এখন জিইসহ আরো বেশকিছু কোম্পানির নাম উঠে আসছে। শেভরনের কাজের পরিসর নিকটভবিষ্যতে যদি আর না বাড়ে সেক্ষেত্রে অবধারিতভাবেই জিই হবে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী কোম্পানি। বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেও আগের তুলনায় বর্তমানে জিইর মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে দেশে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে জিইর কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে সামিট করপোরেশন, ডানা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস, ক্লার্ক এনার্জি, মেডিট্রাস্ট, ইউনিহেলথসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। গ্যাসের পাশাপাশি বাষ্পভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও জিই প্রযুক্তি সরবরাহ করে। এছাড়া জিই পাওয়ার সার্ভিস বিজনেসের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নতুন আয়ের সুযোগ খোঁজার পাশাপাশি পরিচালন ব্যয় কমানো এবং কেন্দ্র সচল রাখার মতো সমাধান দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ভূ-তাপীয়, স্রোত, জৈব সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি সরবরাহ করছে জিই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে জিই। সমুদ্র ভূপৃষ্ঠে তেল গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনের প্রযুক্তিও সরবরাহ করে কোম্পানিটি। ফলে ভবিষ্যতে খাতেও বাংলাদেশের সঙ্গে জিইর অংশীদারিত্ব আরো বাড়ার সুযোগ রয়েছে। এভিয়েশন খাতে বাণিজ্যিক সামরিক দুই ধরনের প্রযুক্তি সরবরাহ করে জিই। রেলপথ নির্মাণ, রেলের ইঞ্জিন খননকাজে ব্যবহূত প্রযুক্তির অন্যতম বড় সরবরাহকারী জিই। ফলে এসব খাতেও প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। 

বাংলাদেশে জিইর যাত্রা ১৯৭০ সালে প্রথম গ্যাসভিত্তিক টারবাইন সরবরাহের মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালে দেশে প্রথম কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রযুক্তি সরবরাহ করে কোম্পানিটি। ১৯৯৫ সালে জিই প্রথমবারের মতো গ্যাস টারবাইনে কন্ট্রোলস রেট্রোফিট স্থাপন করে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মেঘনাঘাটে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইকুইটি বিনিয়োগ করে। একই বছর বিবিয়ানা- গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথমবারের মতো এফ ক্লাস প্রযুক্তি সরবরাহ করে। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) জিইর কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার ব্লক গ্রহণ করে।

একই বছর বিবিয়ানা- গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি সক্ষমতার ট্রান্সমিটার সরবরাহ করে। ওই বছর ফেঞ্চুগঞ্জে ম্যাক্স পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৯ই ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ পাওয়ার ব্লক সরবরাহ করে। ২০১৬ সালে ঘোড়াশাল গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট--এর রি-পাওয়ারিং চুক্তি পায় জিই। একই বছর একই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট--এর সরঞ্জামাদি সরবরাহের কাজ পায় প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছরই ওরিয়ন পাওয়ারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বয়লার এসটিজি প্যাকেজের কাজ পায় জিই। ২০১৭ সালে সামিট করপোরেশনের ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইনের কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছরই জিয়াংশু ইটার্ন কোম্পানির ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার শাহজিবাজার বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইন ভোলায় শাপুরজি পাল্লোনজি গ্রুপের ২২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জামাদি সরবরাহের কার্যাদেশ পায় জিই। একই বছর বাংলাদেশ ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ সরবরাহের কাজ পায় মার্কিন কোম্পানি।

২০১৮ সালে মেঘনাঘাটে ইউনিক গ্রুপের ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র উন্নয়ন গ্যাস টারবাইন সরবরাহের দায়িত্ব পায় জিই। ভারতের গদ্দায় আদানি গ্রুপের ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এসটিজি প্যাকেজ সরবরাহে চুক্তি করে জিই। কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করবে ভারত।

দেশের বিদ্যুৎ খাতে জিইর অংশীদারিত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম বণিক বার্তাকে বলেন, শুরু থেকেই বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে জিই আমাদের সঙ্গে ছিল। গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে গেলে জিইর কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি জিইর কাছ থেকে আপনি সব ধরনের সেবাই পাবেন, যা প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের বড় অংশীদারে পরিণত করেছে। এমনকি ভবিষ্যতে ব্যবসাকে কীভাবে টেকসই করা সম্ভব সে বিষয়েও তাদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যায়, যা খাতের অন্যান্য বিদেশী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চিন্তাও করা যায় না। ফলে সামনের দিনগুলোয় বাংলাদেশের সঙ্গে জিইর একটি দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব থাকবে।

২০০২ সালে দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রথমবারের মতো সিটি এমআরআই প্রযুক্তি স্থাপন করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। ২০০২-০৫ সালের মধ্যে জিই প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা হেলদিম্যাজিনেশন চালু করে। ২০১০ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তে প্রথম ডিজিটাল ম্যামোগ্রাফি সিস্টেম, পিইটি সিটি ইমেজিং সিস্টেম মেডিকেল সাইক্লোট্রন সুবিধা স্থাপন করে জিই। ২০১২ সালে জিই হেলথকেয়ার প্রথম একমাত্র ১২৮-স্লাইস সিটি অ্যান্ড .৫টি এমআরআই সরবরাহ করে। ২০১৪ সালে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ফরটিস হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম এমআরআই সিস্টেম স্থাপন করে জিই।

স্বাস্থ্য খাতে জিইর কার্যক্রম প্রসঙ্গে ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এএম শামীম বণিক বার্তাকে বলেন, জিই স্বাস্থ্য খাতে ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে কাজ করে। দেশের স্বাস্থ্য খাতে যন্ত্রপাতি সরবরাহের ক্ষেত্রে জিইর অবস্থান এখন তৃতীয়।

জিই এভিয়েশনের কাছ থেকে ২০০৯ সালে ইঞ্জিন কিনতে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ বিমান। ২০১১ সালে বিমান বাংলাদেশ জিইর কাছ থেকে আরো ইঞ্জিন কেনার কার্যাদেশ দেয়। এছাড়া ২০১৮ সালে কর্ণফুলী পেপার মিলের সোডা বয়লার সংস্কারের কাজ পায় তারা। মেমব্রেন বায়ো রিঅ্যাক্টর পদ্ধতির ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টের (ইটিপি) প্রযুক্তিও সরবরাহ করছে জিই।

বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ যুক্তরাষ্ট্র। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বৃহত্তম গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। আবার বাংলাদেশের পণ্য আমদানির উৎস দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য হয়েছে ৯২৪ কোটি ২২ লাখ হাজার ৬৫৩ ডলারের। এর মধ্যে রফতানি হয়েছে ৬৯৭ কোটি ৪০ লাখ হাজার ৬৫৩ ডলারের পণ্য। আমদানি হয়েছে ২২৬ কোটি ৮২ লাখ ডলারের।

এদিকে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) সবচেয়ে বড় উৎস দেশও যুক্তরাষ্ট্র। পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই স্টক বিবেচনায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এফডিআই স্টকের আকার ছিল ৩৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরে দেশটি থেকে আসা নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ২৪ কোটি লাখ ডলারের।

আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, শেভরন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আছে শুধু গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে। গভীর সমুদ্রে কাজের সুযোগ পেলে কোম্পানিটির বিনিয়োগ অনেক বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে জিইর বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাংলাদেশে অনেক বিস্তৃত। শুধু সামিটের সঙ্গেই কোম্পানিটির বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হওয়ার কথা। স্বাস্থ্য খাতের কারিগরি উপকরণগুলোয় জিই অনেক বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা শেভরনের চেয়ে জিইর অনেক বেশি। বলা যায় বহুমুখী সম্ভাবনা আছে জিইর। কোম্পানিগুলোসহ বাংলাদেশে এখন মার্কিন অনেক কোম্পানি আছে যারা বিনিয়োগের ব্যাপ্তি ধীরে হলেও বাড়াচ্ছে। যেমন ওরাকল, গুগল, ভিসা, কোকা-কোলা। আবার প্রাণের সঙ্গে প্রডাকশন শেয়ারিংয়ে গিয়েছে প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল। সামগ্রিকভাবে আগে শেভরনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ কেন্দ্রীভূত ছিল মূলত জ্বালানি খাতে। এখন জিই অন্য বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ আগের চেয়ে অনেক বৈচিত্র্যময়।

১৮৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছিলেন বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। পরবর্তী সময়ে ল্যাবরেটরিতেই তিনি বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেছিলেন, যা পৃথিবীর পুরো সভ্যতাকেই বদলে দিয়েছিল। ১৮৯০ সালে তিনি তার বিভিন্ন ব্যবসাকে একত্র করে এডিসন জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি আজকের বিশ্ববিখ্যাত প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) কোম্পানি। সম্প্রতি জিইর গ্লোবাল হেডকোয়ার্টার থেকে এভিয়েশন, হেলথকেয়ার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ ডিজিটাল খাতকে বেশি প্রাধান্য দেয়ার ঘোষণা এসেছে। এক্ষেত্রে তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে তারা এসব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ২০২০ সালে জিইর বার্ষিক আয় হয়েছে ৭৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নিট আয় দাঁড়িয়েছে দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২৫৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন