পাবনা জেনারেল হাসপাতাল বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর চাপ, শয্যা সংকট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, পাবনা

শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবনায় বেড়েছে মৌসুমি রোগের প্রভাব। রোগে শিশু বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। হাসপাতালে শয্যাস্বল্পতার কারণে শীতল মেঝেতেই অবস্থান নিয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন অনেকেই। হাসপাতালে ডাক্তারস্বল্পতার কারণে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে। ফলে হাসপাতালে মৌসুমি রোগে পর্যন্ত কোনো মৃত্যু নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ২৫০ শয্যাসংবলিত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন রোগীরা। শিশু বৃদ্ধরা বেশি ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। শিশুরা নিউমোনিয়া বৃদ্ধরা অ্যাজমা এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই সাধারণ রোগীর চাপ রয়েছে এখানে। ফলে হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। কারণে শয্যাস্বল্পতায় রোগীদের ভাগ্যে জুটছে শীতল মেঝে। শীতল মেঝেতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তরা আরো অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শয্যা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন ঠাণ্ডা, কাশি, সর্দি-জ্বর নিয়ে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।

হাসপাতালের মেঝেতে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসাসেবা নেয়া শাহানা খাতুন (৬৫) জানান, জ্বর, সর্দি কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কোনো শয্যা না পাওয়ায় মেঝেতে পড়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। রাতে বেশ ঠাণ্ডা লাগে এখানে। কারো কাছে অভিযোগ করার জায়গা আমাদের দরিদ্রদের নেই।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা সামর্থ্যের ভেতর যথাসাধ্য চেষ্টা করে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করছি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু জাফর বলেন, ঠাণ্ডার কারণে হাপতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। হাসপাতালে জনবলস্বল্পতার কারণে চিকিৎসাসেবা প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হলেও কর্তব্যরত ডাক্তারদের অতিরিক্ত কাজ করিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাবনা জেলার ২৮ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর জন্য একমাত্র ২৫০ শয্যার হাসপাতাল রোগীদের জন্য যথেষ্ট অপ্রতুল বলে মনে করি। তবে পাবনা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালটি নির্মিত হলে হাসপাতালের ওপর অনেকটা চাপ কম হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন