কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাটে এক নারী জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে ওই অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনের নেতৃত্বে তার জমি দখল করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী আনজিনা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, তার নামীয় ৩৫ শতক জমি ছাত্রলীগ নেতা ছোটন অন্যের কাছ থেকে ক্রয় করার কথা বলে দখল করে নিয়েছেন। ওই জমিতে মাটি ভরাটসহ গৃহনির্মাণের কাজ চলমান রেখেছেন ছাত্রলীগ নেতা ছোটন। থানা পুলিশ, আইন আদালত করেও জোরপূর্বক জমি দখল প্রতিরোধ করতে পারছেন না বলে জানান আনজিনা বেগম। এ অবস্থায় জমি উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এ সময় ওই জমির আগের মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের উদ্দিন জানান, আমি দীর্ঘদিন এ জমি ভোগদখল করে ২০১৭ সালে আনজিনা বেগমের কাছে বিক্রি করেছি। আমার নামে সব রেকর্ড, খারিজ থাকা অবস্থায় জমি বিক্রি করি। বর্তমান রেকর্ডও আনজিনার নামে রয়েছে। সেই জমি কীভাবে তারা দখল করে তা ভেবে আমি অবাক হই।
সংবাদ সম্মেলনে আনজিনা বেগমের স্বামী মিজানুর রহমান মিজু, তার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলিমুদ্দিন, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক। তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী খোকনের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের ছোট ভাই।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা ছোটন অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, জমি দখলের সঙ্গে আমার কিংবা ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই জমি নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির। তিনিই ওই জমিতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছেন। অভিযোগকারী নারীর স্বামী জাল দলিল তৈরি করে ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন।