উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে এনভয় টেক্সটাইলস

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড বিদ্যমান কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে কোটি ৭০ লাখ প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৮৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিদ্যমান কারখানায় ব্লেন্ডেড ইয়ার্ন উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সংগৃহীত অর্থের কিছু অংশ উচ্চসুদের ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে পুরোপুরি অবসায়নযোগ্য প্রেফারেন্স শেয়ারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি রূপান্তরযোগ্য নয়। নির্ধারিত হারে অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে প্রেফারেন্স শেয়ারে বিনিয়োগের বিপরীতে লভ্যাংশ দেয়া হবে।

জানতে চাইলে এনভয় টেক্সটাইলসের কোম্পানি সচিব এম সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, উৎপাদিত ব্লেন্ডেড ইয়ার্ন এনভয়ের নিজস্ব কারখানায় ফ্যাব্রিকস তৈরি কাজে লাগানো হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে।

চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এনভয় টেক্সটাইলসের ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩ পয়সা। বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২১ হিসাব বছরে শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। সমাপ্ত হিসাব বছরে এরই মধ্যে শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছিল কোম্পানিটি। সেই হিসাবে আলোচ্য হিসাব বছরের মোট ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাচ্ছেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৬৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য ২৭ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে এজিএম আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গত ১৫ নভেম্বর।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর  পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৬৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৭ দশমিক ৬২, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে বাকি দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন