সাংবাদিকদের সুরক্ষায় পাকিস্তানে আইন পাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

সাংবাদিক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সুরক্ষায় আইন পাস করেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি -সংক্রান্ত একটি বিল স্বাক্ষর করার মাধ্যমে এটিকে আইনে পরিণত করেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ধরনের আইন পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে গণ্য হবে। খবর ডন।

আইনটি সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় প্রেসিডেন্ট আলভি বলেন, কেউই চায় না যে তাদের ভুলগুলো প্রকাশিত হোক। ফলে তারা সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে। সাংবাদিকরা শুধু রিপোর্টিং তথ্য প্রচারের জন্য কাজ করেন। সময় সাংবাদিকদের প্রতি সহনশীল পরিবেশ সংস্কৃতি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।

বিলটি মূলত সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা, পেশাগত দায়িত্ব পালনে হয়রানি নির্যাতন থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এবং জীবন স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত করাও বিলের লক্ষ্য। চলতি মাসের শুরুতে এটি বিল আকারে পাকিস্তানের সংসদে পাস করা হয়েছিল।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হোসাইন জানান, কর্মরত সাংবাদিকদের যেকোনো প্রয়োজনে তার মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে। তিনি বলেন, দেশের একটি অংশ ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে যে পাকিস্তানে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা নেই।

পাক তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি পাকিস্তানে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা না থাকে, তবে বলতে হবে পৃথিবীর কোথাও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। যখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে কথা আসে, তখন আমরা নিজেদের কোনো তৃতীয় বিশ্বের দেশ অথবা মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা দিই না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে আমরা সবসময় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করি।

বিলটি তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার মন্ত্রণালয় মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী . শিরিন মাজারি। আইনটি সম্পর্কে শিরিন মাজারি জানান, নতুন আইনটি সময়ের চাহিদায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাংবাদিক  গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের জীবন স্বাস্থ্যবীমার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে বৈশ্বিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) সাংবাদিকদের সুরক্ষা-সংক্রান্ত আইনের একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত করার নিন্দা জানিয়েছে। ধারাটিকে অত্যন্ত অস্পষ্ট ধারা হিসেবে অভিহিত করেছে আরএসএফ।

এক বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, আইনে উল্লেখিত নং ধারা সাংবাদিকদের সুরক্ষা-সংক্রান্ত প্রতিটি নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করে। অথচ এসব সুরক্ষা দেয়াই আইনের মূল উদ্দেশ্য। সংস্থাটি জানায়, আইনের উল্লেখিত ধারাটির মাধ্যমে সাংবাদিক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের প্রতি যেকোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য, ঘৃণা উৎপাদনকারী বস্তু প্রচার এবং এমন কোনো তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত রাখে, যা বৈষম্য, শত্রুতা বা সহিংসতার জন্য উদ্দীপনা তৈরি করে। তবে আইনটিতে এসব বিষয়ের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বিবরণ দেয়া হয়নি যে ঠিক কী ধরনের তথ্য এসব বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন