গুণগত মান ধরে রাখতে না পারায় ভেনিজুয়েলার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি কমেছে। নভেম্বরে দেশটির দৈনিক রফতানি কমে তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিচে নেমে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানি পেট্রলিয়াস ডি ভেনিজুয়েলা (পিডিভিএসএ) নভেম্বরে নিম্নমানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। এ কারণে জাহাজীকরণে বিলম্ব দেখা দেয়। ফলে রফতানিতে পিছিয়ে পড়ে ওপেকের সদস্য দেশটি। পিডিভিএসএর নথিতে এ তথ্য উঠে আসে।
ভেনিজুয়েলা সাধারণত অপেক্ষাকৃত বেশি ঘন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ইরানের কম ঘন তেলের স্থির সরবরাহের কারণে দেশটি সুবিধা পায়। এর মাধ্যমে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানির উদ্দেশ্যও ছিল ওপেকভুক্ত দেশটির। তবে সে আশায় গুড়ে বালি। মিশ্রণ পাতলা করতে রফতানিযোগ্য অপরিশোধিত তেলে পানি মেশানো হয়। তবে পানির পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ায় মিশ্রণ দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে জ্বালানি তেল লোডিং বিলম্বিত হয়।
পিডিভিএসএর তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটি এককভাবে ও যৌথ উদ্যোগে গত মাসে দৈনিক ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৭ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত পণ্য সরবরাহ করে। তথ্য বলছে, সরবরাহের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ২০ শতাংশ কম ছিল। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২ শতাংশ কম ছিল রফতানিও।
রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে পিডিভিএসএ জানিয়েছে, অতিরিক্ত পানির কারণেই এবার অপরিশোধিত তেলের মজুদও কমেছে।
ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক রফতানি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দৈনিক ৬ লাখ ৪০ হাজার, দ্বিতীয় প্রান্তিকে দৈনিক ৬ লাখ ৪২ হাজার ও তৃতীয় প্রান্তিকে দৈনিক ৫ লাখ ৯১২ হাজার ব্যারেল ছিল। এদিকে অক্টোবরে এক মাসেই রফতানি ছিল দৈনিক ৭ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল।
চীনসহ এশিয়ার নানা দেশে কার্গো করে রফতানি হচ্ছে ভেনিজুয়েলার তেল। এছাড়া দেশটির রাজনৈতিক মিত্র কিউবায় রফতানি হচ্ছে দৈনিক ৭৭ হাজার ব্যারেল জেট জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাস। এদিকে রফতানি কমলেও তেল উত্তোলন বেড়েছে ভেনিজুয়েলায়।