ডাকাত দলকে মিস করবে দর্শক?

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। নেটফ্লিক্সের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মানি হেইস্টের পঞ্চম সিজনের দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পেয়েছে ডিসেম্বর। এর আগের সব পর্বের মতোই পর্বেও পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারেনি দর্শক। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষকে মুগ্ধ করেছে মানি হেইস্টের পঞ্চম সিজনের দ্বিতীয় পর্ব। দর্শক অ্যাকশনে মুগ্ধ হয়েছে, হেসেছে, কেঁদেছে; সোস্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে প্রতিক্রিয়া। টুইটারে এক ভক্ত লেখেন, মানি হেইস্টের শেষটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল।

আরেক ভক্ত লিখেছেন, যখন কোনো আশা বাকি থাকে না, মৃত্যু দুয়ারে এসে যায়, তখনো আমরা বিশ্বাস করি যে প্রফেসর আছেন। সেরা সিরিজ! আরেকজন লিখেছেন, খুব সুন্দরভাবে শেষ হলো। মাস্টারপিসের সমাপ্তি। মানি হেইস্ট দেখে শেষ করলাম। জানি না কীভাবে তারা পাঁচ সিজনের ১০টি পর্ব তৈরি করেছেন, যেখানে একবারও বিরক্ত হওয়ার সুযোগ নেই, লিখেছেন মানি হেইস্টের এক ভক্ত। একজন লিখেছেন, মানি হেইস্টের শেষটা অন্য যেকোনো টিভি সিরিজের শেষের চেয়ে সুন্দর। ভক্তরা আবেগে ভাসছেন সিরিজের সমাপ্তি দেখে। অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলেছেন, এখন সময় কাটাবেন কিসের অপেক্ষায়? লাকাসা দে পাপেল বা মানি  হেইস্ট, সহজ বাংলায় যার অর্থ ডাকাতি। তবে আপনার কাছে এটা চুরি বা ডাকাতি মনে হলেও সিরিজের মাস্টারমাইন্ড প্রফেসর মেনে নিতে নারাজ যে এটি চুরি। কারণ তারা কোনো অর্থ চুরি করছেন না, তারা নিজেরা রয়েল মিন্টে ঢুকে টাকা ছাপিয়ে পালিয়ে যাবেন। পরিমাণ পুরো ২৪০ কোটি ইউরো! তবে তিনি একা নন, তার দলে আছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের কিছু মানুষ। যারা প্রত্যেকেই বিশেষ কিছুতে পারদর্শী। আর এদের নিয়েই এগিয়ে চলে সিরিজের কাহিনী। তারা উল্টো ব্যাংকে গিয়ে, হোস্টেজদের না মেরে জিম্মি রেখে, নিজেরা নিজেদের টাকা ছাপিয়ে নিয়ে পালাতে চায়। আবার ডাকাতিজুড়ে তারা সাধারণ জনগণের সাপোর্ট পায়। সিরিজের গল্পটাই তো ডাকাতির, যেখানে ডাকাতরা হিরো আর পুলিশ, গোয়েন্দা, বড় বড় সরকারি এজেন্সিকে দেখানো হয়েছে ভিলেনরূপে।

সিরিজে ব্যবহার করা বেলা চাও গানটি একই সঙ্গে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এটি মূলত একটি ইতালিয়ান লোকসংগীত, যেখানে জমির মালিকদের অমানুষিক অত্যাচারের কথা ফুটে উঠেছিল। আর মানি হেইস্টের পরিচালক গান থেকেই গোটা সিরিজ তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

নির্মাতা অ্যালেক্স পিনা আগেই জানিয়েছিলেন, ভলিউম -তে তারা চরিত্রগুলোর আবেগী বিষয়গুলোর ওপর ফোকাস করবেন। প্রফেসর, বার্লিন, নাইরোবি, ডেনভার, টোকিও চরিত্রগুলোয় অভিনয় করা প্রত্যেকেই দারুণ কাজ করেছেন। বিশেষ করে প্রফেসর চরিত্রটার তো একটা আলাদা ফ্যানবেজই আছে।

বাংলাদেশেও সিরিজের দর্শকের অভাব নেই। সিরিজের নতুন এপিসোডের জন্য অপেক্ষা, সিরিজ দেখার পর অনুভূতি জানাতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপে। মানি হেইস্টের ডাকাত দলের প্রতিটি চরিত্রেরই ভক্ত আছে দেশে। সিরিজের দ্বিতীয় এপিসোডে বার্লিনের জন্য কান্না করেছেন অনেকে। মন খারাপের পোস্ট দিয়েছেন নাইরোবি, টোকিওর মৃত্যুতেও। ডেনভারের হাসি নিয়ে আনন্দে মেতেছেন। প্রফেসর আর রাকেলের জন্য আলাদা ভালোবাসা তো ছিলই। সিজন--এর দ্বিতীয় ভলিউমের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মানি হেইস্ট অধ্যায়। সারা বিশ্বের দর্শকের মতো বাংলাদেশের দর্শকও কি মিস করবে ডাকাত দলকে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন