সালভাদর দালির ১৮০টি ছবি নিয়ে সিউলে প্রদর্শনী

ফিচার ডেস্ক

সালভাদর দালির চিত্রকর্ম দ্য পারসিস্ট্যান্স অব মেমোরি

বিখ্যাত পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী সালভাদর দালি। বিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য চিত্রকলার মাধ্যমে জন্ম নিয়েছিল নানা শিল্প আন্দোলনের। চিত্রকর্ম ছাড়াও নাটক, সিনেমা, কবিতা ইত্যাদি শিল্পমাধ্যমকে প্রভাবিত করে এসব আন্দোলন। বিংশ শতাব্দীতে এসব প্রভাব বিস্তারকারী শিল্প আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের একজন দালি।

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পীর সংগৃহীত চিত্রকর্মগুলো কখনো একসঙ্গে দেখা সম্ভব হয়নি দর্শকদের। এবার তার আঁকা প্রায় ১৮০টি চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির রাজধানী সিউলের ডংডেমুন ডিজাইন প্লাজায় (ডিডিপি) চলছে প্রদর্শনী। স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র মাদ্রিদের দালি জাদুঘর থেকে এসব চিত্রকর্ম ধার করে আন হয়েছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।

প্রদর্শনীতে দালির ছবি ছাড়াও তার জীবন কর্মের নানা দিক নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টরি ভিডিওচিত্র দেখানো হবে। আয়োজকরা বলছেন, প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দর্শক শুধু মহান শিল্পীর কাজই নয়; বরং তার জীবন কর্মের বিস্তৃতিও জানতে পারবে।


  প্রদর্শনীতে রয়েছে ১৯৩১ সালে দালির জীবনের শ্রেষ্ঠ তো বটেই, ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরাবাস্তব ছবি দ্য পারসিস্ট্যান্স অব মেমোরি। ছবিটিতে ছোট বড় কিছু দেয়াল ঘড়ি, পকেট ঘড়িকে গলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। অথবা ঘড়িগুলো ছিল নমনীয়, যেগুলো শুকানোর জন্য গাছের ডালে নেড়ে দেয়া হয়েছে।

প্রদর্শনীতে যে চিত্রকর্মগুলো রাখা হয়েছে, সেগুলো দালি তার জীবদ্দশায় দেখাতে চেয়েছিলেন। কোরিয়ার প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বর্তমানেও দালির প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা তা প্রদর্শন করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দালি তার সময়ের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন এবং পরাবাস্তব শিল্পের নতুন ধারাটিকে সম্পূর্ণ অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন।

ফরাসি লেখক কবি আন্দ্রে ব্রেটন, যিনি পরাবাস্তববাদের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি দালি সম্পর্কে বলেছিলেন, পরাবাস্তববাদকে যে জিনিসগুলো দালি দিয়েছেন, তার মধ্যে একটি হলো পরাবাস্তববাদের চিন্তা করার পথের জানালা খুলে দিয়েছেন তিনি।

১৯০৪ সালের ১১ মে স্পেনের ফিগুয়েরেস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন দালি। ১৯১৬ সালে একটি আর্ট স্কুলে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে তার প্রাতিষ্ঠানিক চিত্রকর্ম শেখা শুরু হয়।

১৯১৯ সালে ফিগুয়েরেস মিউনিসিপ্যালিটি থিয়েটারে প্রথমবারের মতো দালির একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রদর্শনীর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯১৭ সালের একক প্রদর্শনী, যা কেবল পারিবারিক পরিসরে করা হয়েছিল। এটিই ছিল দালির প্রথম প্রদর্শনী, যা তাকে দিয়েছিল অশেষ অনুপ্রেরণা।

 

সূত্র: কোরিয়ান টাইমস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন