সরকার নারী উদ্যোগ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশকিছু নীতিমালা ঘোষণা দিয়েছে, বিশেষ করে অর্থায়নের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করেছেন। যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক স্মল এন্টারপ্রাইজ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা করেছে। এছাড়া নারী সিএমএসএমইদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ন্যূনতম ৮ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে ইত্যাদি। অর্থায়নের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য এমনকি কভিডকালীন প্রণোদনা প্যাকেজের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল, কিন্তু প্রকৃত ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন কতটা হয়েছে তার বাস্তবতা গ্রাউন্ড লেভেল বা প্রান্তিক নারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে তেমনভাবে পাওয়া যায় না।
তাহলে ফারাকটা কোথায়? অর্থায়নের কথাই ধরা যাক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জানা যায়, উদ্যোক্তারা আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য তেমনভাবে তৈরি নন। যেমন যেসব দলিল, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর দাতা নিবন্ধন, ভ্যাট নিবন্ধন, ব্যাংকের কয়েক বছরের লেনদেন, কোলেটারেল, গ্যারান্টর—একজন পরিবার থেকে আরেকজন সরকারি প্রতিনিধি বা বন্ধুবান্ধব থেকে; ভাড়া বাড়ি হলে ভাড়া চুক্তি ইত্যাদি প্রয়োজন, তা অনেক ক্ষেত্রেই উদ্যোক্তা সরবরাহ করতে পারেন না। তার পরও দীর্ঘদিন ধরনা দেয়ার পর হয়তো সামান্য কিছু ঋণ পাওয়া যায়, অথবা বলা হয় ঋণ আবেদনটি ঋণ পাওয়ার যোগ্য নয়। বিষয়টি প্রায় সবারই জানা। এ থেকে পরিত্রাণ কীভাবে পাওয়া যেতে পারে?
নীতিমালায় কিন্তু কোলেটারেল ছাড়া ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দেশনা আছে, কিন্তু যারা ঋণ দেবেন তারা নারী উদ্যোক্তাদের ভরসা করতে পারেন না। অন্যদিকে ঋণ ফেরত দেননি বা ডিফল্টার হয়েছেন এমন উদাহরণ কিন্তু নারীদের মধ্যে কম। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বড় উদ্যোক্তাকে ঋণ দিতে আগ্রহী। এতে তাদের খরচ কম হয় আবার লক্ষ্যও পূরণ হয়। অবশ্য ভালো উদাহরণ যে নেই তা কিন্তু নয়, যেমন ব্র্যাক ব্যাংক কোলেটারেল ছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। বিসিকও কিছু ক্ষুদ্রঋণ দিচ্ছে। আবার এসএমই ফাউন্ডেশনও এগিয়ে এসেছে উদ্যোক্তাকে সহায়তা করার জন্য। তবে এক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল এবং সময়ানুগ নয়। আশার কথা, এত বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ কিন্তু থেমে নেই, বিশেষ করে নারী উদ্যোগ।
আমরা এ-যাবৎ শহরকেন্দ্রিক নারী উদ্যোগের কথা জেনে এসেছি। বিশেষ করে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এ উদ্যোগগুলো খুবই ছোট আকারের এবং অনানুষ্ঠানিক। আমাদের তেমন ধারণা ছিল না যে আঞ্চলিক পর্যায়ে নারী চেম্বারগুলোও সমান তালে এগিয়ে এসেছে এবং তারা যে যার পর্যায় থেকে চেষ্টা করছে কোনো না কোনো উদ্যোগ গড়ে তোলার। আমরা এ প্রচেষ্টাকে বিশেষ সাধুবাদ জানাই।
কথা হচ্ছিল পটুয়াখালী চেম্বারের খাদিজা সুলতানার সঙ্গে, তিনি এফ-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত। তিনি তার ব্যবসা আরো সম্প্রসারণ করতে চান। তিনি কী করে কিছু ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যাপারে তার সাহায্য দরকার। আরেকজন উদ্যোক্তা লালমনিরহাট, রংপুর থেকে জমিলা খাতুন জানালেন, তিনি কভিডের সময়ে প্রায় ১৩ লাখ টাকার মাস্ক বিক্রি করেছেন এবং তিনি এ উদ্যোগ চালিয়ে নিতে চান। তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার প্রান্তিক নারী কাজ করেন এবং তিনি একটি পোশাক শিল্পও গড়ে তুলতে চান। তবে তিনিও অন্যদের মতো একই সুরে অর্থায়নের সমস্যা সবচেয়ে বড় বলে জানালেন।
আরেকজন দীপা রানী সরকার জানালেন, তিনি বাঁশের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন এবং রফতানি করতে ইচ্ছুক কিন্তু অর্থায়নের অভাবে উদ্যোগ বড় করতে পারছেন না। দিনাজপুর, পার্বতীপুরের পাটপণ্য প্রস্তুতকারী মিতা রানীও রফতানিতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলেন। সিদ্দিকা লালমনিরহাট মহিলা চেম্বার থেকে জানালেন, তিনি প্রায় ২২ বছর ধরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং প্রায় দুই হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছেন কিন্তু কভিডের সময় থেকে সমস্যায় রয়েছেন। তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। তার অর্থায়নের বিশেষ প্রয়োজন। এছাড়া আরো অনেকের সঙ্গে পরিচয় হলো, যারা কেউ ফুলের দোকান করেছেন, কেউ অর্গানিক শুঁকনা মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, বেকারি, অলংকার, নকশিকাঁথা, আচার, ফুড আইটেমের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া রয়েছে বিউটি পার্লার, রেস্তোরাঁ, গ্রোসারি দোকান, পোলট্রি, টেইলারিং, ফিশারি, ট্যুরিজম এমনকি একজন রিফারবিসড কম্পিউটার বিজনেসের সঙ্গেও যুক্ত।
বেশ কিছুসংখ্যক উদ্যোক্তা আবার আমদানি ও রফতানির সঙ্গে যুক্ত। তবে তারা যেহেতু অল্প পরিমাণে রফতানি করেন, সে কারণে তাদের পরিবহন খরচ অনেক বেশি পড়ে যায় এবং এ কারণে প্রতিযোগী হতে পারছেন না। চমত্কার সব রকমারি পণ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অর্থায়ন ও দলিলাদি প্রণয়ন, যার মধ্যে রয়েছে নতুন ট্রেড লাইসেন্স। এ লাইসেন্স বছরভিত্তিক নবায়ন ও তার খরচ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি তাদের বেশ ভোগান্তির কারণ।
বিল্ড এ পর্যন্ত আটটি বিভাগের ১৫টি জেলায় ১২টি আঞ্চলিক চেম্বারের সঙ্গে আউট রিচ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কথা বলেছে। ৪০০-এর অধিক উদ্যোক্তা এ সভাগুলোয় সংযুক্ত ছিলেন। প্রায় আট হাজার জনের কাছে এ প্রোগ্রামের খবরটি পৌঁছেছে। ফেসবুক ও লাইভে দেখেছেন তিন হাজারেরও বেশি উদ্যোক্তা। বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সরাসরি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলেন এরা সবাই। আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যা প্রায় সারা বাংলাদেশ কভার করবে। আমরা বিশেষ করে চেষ্টা করছিলাম বর্তমান সরকারের অনলাইনে সেবাগুলো তারা কে কীভাবে নেবেন, সে ব্যাপারে ধারণা দিতে, যাতে তারা অতিসহজে ঘরে বসে সরকারের এ সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ, যেমন এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিসিক, ইপিবি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সব প্রোগ্রামেই যুক্ত ছিলেন এবং নারী উদ্যোক্তাদের বক্তব্য তারা সরাসরি জেনেছেন ও উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশ সরকার ও সহায়ক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নারী উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদানে বিশেষ আগ্রহী। আমরা বিশেষ করে সহায়ক নীতিগুলো সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। যেমন সরকার নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত এবং সাহায্য করার লক্ষ্যে এ অর্থবছর ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের ওপর ট্যাক্স বা কর মওকুফ করেছে। সরকার নারী ব্যবসায়ীদের নতুন আউটলেট চালু করার ক্ষেত্রে ভাড়ার ওপর ভ্যাট মওকুফ করেছে। নারী উদ্যোক্তাদের সময়মতো ঋণ পরিশোধে বিশেষ ১ শতাংশ ইনসেনটিভ প্রদান, ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলোকে পোর্টফোলিও গ্যারান্টি লিমিটের ১০ শতাংশ অর্থ নারী উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে নারী উদ্যোক্তাদের জামানতমুক্ত ঋণের জন্য বিধান করা হয়েছে। স্বল্প সুদে স্টার্টআপ লোন ও ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ইত্যাদি। আমরা চেষ্টা করছিলাম জানার জন্য যে এসব সুযোগ-সুবিধার কতটুকু তারা ব্যবহার করতে পেরেছেন। অনেকে এগুলোর ব্যাপারে তেমনভাবে অবগত নন বা তারা কিছু সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে তেমন সুফল পাননি।
আমরা জানি, নারী উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগই উদ্যোগ শুরু করেন নিজস্ব অর্থায়নে এবং খুবই ক্ষুদ্র আকারে। ব্যবসাটি কিছুটা সম্প্রসারণের সঙ্গে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন সংস্থা যেমন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং বিভিন্ন দপ্তর থেকে সহায়ক লাইসেন্স গ্রহণ করতে হয়। নারী উদ্যোক্তাদের তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে, যা ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক ধাপ। পরবর্তী সময়ে টিআইএন সার্টিফিকেট, ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হবে। এছাড়া ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ও পণ্যভেদে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকেও লাইসেন্স/সার্টিফিকেট/পারমিট নিতে হয়। সাপ্লায়ার হওয়া, নতুন কন্টাক্ট পাওয়া, মেলায় অংশগ্রহণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, নতুন আউটলেট খোলা, ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া অত্যাবশ্যক।
আমরা চেষ্টা করেছি তাদের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট, ভ্যাট নিবন্ধন, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট, চেম্বার মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট, আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অনলাইন লাইসেন্সিং মডিউলে (ওএলএম) নিবন্ধন, রফতানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট, রফতানি পারমিট ও কিছু কেস স্টাডি দিয়ে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে। তবে ঘুরেফিরে বারবার অর্থায়নের ব্যাপারটি সামনে এসেছে এবং এ লক্ষ্যে যেসব দালিলিক প্রয়োজন সে ব্যাপারে তাদের সহায়তা দরকার। আরেকটা বড় বিষয় সামনে আসে তা হলো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য বা ঘোষণাকৃত সহায়তার কতটুকু তারা গ্রহণ করতে পেরেছেন।
প্রথমেই আসা যাক ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের কথায়। সরকার ভ্যাট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে থাকে, যা অনলাইনে সহজেই পাওয়া সম্ভব। নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন হয় এবং সঠিক সময়ে এ রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানার ব্যাপার রয়েছে। এ হার কিন্তু কম নয়, যেমন প্রতি মাসের রিটার্ন-পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে না পারলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য কিন্তু এ পরিমাণ অর্থ বেশ বড় আর তিনি রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রেও তেমন পারদর্শী নন। যে কারণে হয়তো তারা অনানুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা হিসেবেই থেকে যাচ্ছেন এবং সরকারি সুবিধাও গ্রহণ করতে পারছেন না।
অন্যদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হবে না বলা হলেও আরেকটি সাধারণ আদেশের মাধ্যমে বলা হয়েছে, টার্নওভার নির্বিশেষে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ী পর্যায়ে সরবরাহসহ যেসব করযোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসাস্থল জেলা শহর ও সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত, তাদের কর প্রদান করতে হবে। এ তালিকার মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিউটি পার্লার, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ব্যবসা পর্যায়ে এ অব্যাহতি কার্যকর নয়। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাটি থাকলে তারা তাদের উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারতেন এবং স্বাবলম্বী হতে পারতেন।
অন্যদিকে জামানত অর্থায়নের সীমা ২৫ লাখ পর্যন্ত বলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা এ সুবিধা পান না। অন্যদিকে একটি জমির দাম ৩০-৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি। এ পরিমাণ জামানত দিয়ে তার পক্ষে ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়া সমীচীন বলে মনে করেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইনে কন্যাসন্তান সম্পত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সর্বোপরি অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের ঋণসেবা গ্রহণকারী হিসেবে তেমনভাবে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।
এছাড়া অনলাইনে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তা জানালেন, তার আইআরসি সম্পূর্ণ অনলাইনে নেয়ার সুযোগ থাকলেও তাকে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। কারণ তাদের সংশ্লিষ্ট চেম্বার মূল সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত নয়। জানা গেল জয়িতার প্রতিনিধি সুদূর গ্রামীণ এলাকায় কাজ করছেন। এটা শহর ও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াবে।
আলোচনায় দেখা যায়, বেশকিছু ভালো উদাহরণ আছে। অন্যদিকে উদ্যোক্তার নিরলস প্রচেষ্টাও রয়েছে। এভাবেই হয়তো এ প্রান্তিক উদ্যোক্তারা তাদের অধিকার ঠিকই তাদের পক্ষে নিয়ে যেতে পারবেন, সেই সোনালি দিন যেন দ্রুত আমরা দেখতে পাই, এটিই প্রত্যাশা।
ফেরদাউস আরা বেগম: প্রধান নির্বাহী
বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)