চট্টগ্রাম ও খুলনায় হচ্ছে দুই লাখ টন ধারণ সক্ষমতার স্টিল সাইলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের দুটি জেলায় আধুনিক স্টিল সাইলো বা খাদ্যগুদাম নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টন ধারণ সক্ষমতার খুলনায় ৭৬ হাজার ২০০ টন ধারণ সক্ষমতার। দুটি খাদ্যগুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৮৯৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ ৩৫ হাজার টন সার সার উৎপাদনের কাঁচামাল কেনা হবে। এসব সার আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

গতকাল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গতকালের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।

জানা গেছে, টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল রক ফসফেট ২৫ হাজার টন জর্ডান থেকে ৫৮ কোটি ৮৮ লাখ০ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকায় সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২৪৪ কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে কানাডা থেকে লাখ ১০ হাজার টন এমওপি সার হাজার ৪৪১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় রাশিয়া থেকে লাখ ৭০ হাজার টন এমওপি সার হাজার ৮৫৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মডার্ন ফুড স্টোরেজ প্রজেক্ট (এমএফএসপি) প্রকল্পের আওতায় লাখ ১৪ হাজার ৩০০ টন ধারণক্ষমতার চট্টগ্রামে একটি স্টিল সাইলো বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় ৭৬ হাজার ২০০ টন ধারণক্ষমতার খুলনায় গমের জন্য একটি স্টিল সাইলো তুরস্ক বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ্যে বাস্তবায়ন করবে। এটি ৩৫৫ কোটি ৯১ লাখ হাজার ৩৮৯ টাকায় বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো স্থিতিশীল নয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে স্থিতিশীল হলে সরকারও দেশে দাম কমাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখনো ওঠানামা করছে। কোনোদিন জ্বালানি তেলের দাম ২০ ডলার কমে তো পরদিন ডলার বাড়ে। যখন তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে স্থিতিশীল হবে, তখন আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে দেশেও দাম কমানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দাম কমানোর প্রস্তাব পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন তিনি। অর্থমন্ত্রীও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, সেটি আমারও বক্তব্য।

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বাংলাদেশে এখনো সংক্রমিত হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে এবং তাতে দেশের মানুষ অর্থনীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তা মোকাবেলায় অতীতের মতো সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন