রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট

তিন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সরকারি কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানাতে হবে। বিদেশ থেকে ফিরে এসে অর্থ মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে তাদের। কাল্পনিক উদ্দেশ্যবিহীন বিদেশ সফর জনগণের করের টাকা অপচয় রোধে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৬ সালে দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে ২০২০ সালে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া রায় পর্যবেক্ষণের ১৪ পৃষ্ঠার লিখিত কপি গতকাল সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

রিট আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কোটি টাকার ফগলাইট কিনতে আমেরিকায় যান প্রতিষ্ঠানটির তত্কালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পরিচালক জ্ঞান রঞ্জন শীল, জিএম ক্যাপ্টেন শওকত সরদার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পংকজ কুমার পাল। চার সদস্যের মধ্যে প্রকৌশলী ছিলেন একজন।

কোটি টাকা দিয়ে তারা ১০টি ফগলাইট কেনেন, যেগুলো ছিল নিম্নমানের। দেশে ফিরে গ্রীষ্মকালেই তারা ফগলাইট পরীক্ষা করেন। মাওয়া-আরিচা ফেরিঘাটে ফগলাইট পরীক্ষা করার পর দেখা যায়, সাত হাজার ওয়াটের ফগলাইট কাজ করছে মাত্র তিন হাজার ওয়াটের সমান। কিন্তু এর মধ্যে টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনি করপোরেশন। তবে অনিয়ম ধরা পড়ায় আটকে দেয়া হয় ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন