চলতি মাসেই পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে। ক্রমবিকাশমান ফোল্ডেবল ফোনের বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এই সেগমেন্টে কাজ করছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ও জি ফ্লিপ সিরিজের সঙ্গে টেক্কা দিলেও দামে অনেক সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করছে শিল্প সূত্রগুলো। খবর গিজমোচায়না।
বিনিয়োগকারীদের একটি বৈঠক ২৫ নভেম্বর আয়োজন হয়েছে। ওই বৈঠকে ঝাওলি টেকনোলজি জানায়, তারা এক গ্রাহকের জন্য বড় পরিসরে নতুন ফোল্ডেবল ফোন উৎপাদনে হাত দিয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি তারা। তার পরও শিল্প পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি যে হুয়াওয়ে সে ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
নকশার দিক থেকে হিসাব করলে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন সম্ভবত পরবর্তী বড় পণ্য। এ কারণেই প্রায় সব প্রথম সারির স্মার্টফোন নির্মাতা এ খাতে পা রেখেছে। এ ধরনের ফোনের উন্নয়নে বড় অংকের বিনিয়োগও করছে।
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জি সিরিজের বাজার সাফল্যও বিশেষভাবে সাহস জোগাচ্ছে অন্য ব্র্যান্ডগুলোকে। ক্রেতারা যে এ ধরনের স্মার্টফোনকে আর পরীক্ষামূলক কোনো ডিভাইস হিসেবে দেখছেন না, সেটিই ফুটে উঠেছে এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে।
গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ৩-এর বেলাতেই প্রথমবারের মতো তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য দেখেছিলেন ক্রেতারা। তার আগে ফোল্ডেবলের দাম পড়ত প্রচলিত স্মার্টফোনের প্রায় দ্বিগুণ। সে সময় মাত্র ৪০ দিনের মাথায়ই ১০ লাখ ইউনিটেরও বেশি ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বিক্রি করেছিল স্যামসাং। এখন ২০২২ নাগাদ ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে থাকবে ৪০ লাখ গ্যালাক্সি জি ফোল্ড। আর ৯০ লাখ গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ মডেল।