শঙ্কার মধ্যেও ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির আশাবাদ ভারতের

বণিক বার্তা ডেস্ক

দুই মৌসুম ধরেই ভরতের চিনি রফতানি বেশ চাঙ্গা রয়েছে। যদিও সময়ে বৈশ্বিক করোনা মহামারী অন্যান্য খাতে বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। ২০১৯-২০ মৌসুমে ৫৯ দশমিক ৫০ লাখ টন চিনি রফতানি করেছে ভারত। ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটির চিনি রফতানি দাঁড়িয়েছে ৭১ লাখ টন। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানি করতে পারে ভারত। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

নতুন করে হানা দেয়া নভেল করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হুমকি সত্ত্বেও চিনি রফতানি নিয়ে ভারত আশাবাদী। ভারতীয় চিনির সবচেয়ে বড় বাজার বেশ কয়েকটি আফ্রিকার দেশ। তবে সুখবর হলো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণাংশে প্রবল। ভারতের চিনির গ্রাহক দেশগুলো উত্তরাংশে।

ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) মহাপরিচালক অভিনাশ ভার্মা জানান, করোনার আগের দুই ঢেউয়েও দেশের রফতানিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। প্রায় বছর দুয়েক ধরে চলা করোনা মহামারী সত্ত্বেও আগের দুই মৌসুমে চিনি রফতানি বেশ চাঙ্গা ছিল।

মৌসুমে ৬০ লাখ টন চিনি রফতানির আশাবাদ ব্যক্ত করেন অভিনাশ ভার্মা।

চিনি রফতানিকারকদের শীর্ষ সংস্থার প্রধান আরো জানান, আফ্রিকায় ভারতীয় চিনির সবচেয়ে বড় গ্রাহক হচ্ছে সোমালিয়া ইথিওপিয়া। মহাদেশটির দক্ষিণাংশের প্রায় অর্ধেক দেশেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট হানা দিলেও আমাদের বেশির ভাগ বাজার উত্তরাংশে। প্রলম্বিত মহামারীতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি কীভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে আমাদের বেচা-বিক্রি রফতানি চালু রাখতে হয়।

তবে করোনার ঢেউয়ে যে কিছু সমস্যাও দেখা দেয় তা অকপটে স্বীকার করেছেন অভিনাশ ভার্মা। তিনি বলেন, সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমস্বল্পতার মুখোমুখি হই এবং রফতানির জন্য পর্যাপ্ত কনটেইনার পাই না। নতুন ভ্যারিয়েন্টের হানা সত্ত্বেও চলতি মৌসুমে চিনি রফতানি বেশ চাঙ্গা থাকবে বলেই দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে মহারাষ্ট্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কৃষকের কাছ থেকে আখ সংগ্রহ করেছে চিনিকলগুলো। কৃষকরাও ন্যায্যমূল্যে আখ বিক্রি করছেন।

গত ১৫ নভেম্বর নাগাদ মহারাষ্ট্রের চিনিকলগুলোয় ২৬ দশমিক ৮৮ লাখ টন আখ মাড়াই হয়েছে। ভারত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ন্যায্যমূল্য বা এফআরপির মাধ্যমে কৃষকদের ৮৮১ দশমিক ৯০ কোটি রুপি অর্থ প্রদান করতে হবে চিনিকল মালিকদের। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা ৩১৭ দশমিক ৯১ কোটি রুপি প্রদান করেছে, যা তাদের মোট প্রদেয় অর্থের প্রায় ৪৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। মহারাষ্ট্রের মোট ৭৪টি চিনিকলের ১৭টি চিনিকল শতভাগ বকেয়া প্রদান করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন