বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ভ্রমণের লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতের মহারাষ্ট্রে ফিরে আসা এক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এর পরই ভারত সরকার বাংলাদেশসহ অনেক দেশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে। তবে গতকালই এ তালিকা সংশোধন করে আবার প্রকাশ করেছে ভারত। নতুন তালিকায় কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঝুঁকিযুক্ত দেশগুলোর তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ঢাকার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ভ্রমণের লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেয়া হয়েছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতকাল প্রকাশিত নতুন এ ধরনের সংক্রমণ ঝুঁকিযুক্ত দেশের হালনাগাদকৃত তালিকার দেশগুলো হলো যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইসরায়েলসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশটিতে যাওয়া যাত্রীদের বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে কভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কারো করোনা পজিটিভ হলে তাকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। ঝুঁকিযুক্ত তালিকার দেশ থেকে দিল্লির বিমানবন্দরে আসা লোকজনের করোনা পরীক্ষা গত রোববার (২৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
ওমিক্রন সংক্রমণের ‘হটস্পট’ দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও হংকং থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ফল পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নেগেটিভ ফল না এলে তাদের বিমানবন্দর ত্যাগ করতে দেয়া হবে না। বাকি নয়টি দেশের যাত্রীরা নমুনা দিয়েই বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারবেন। পরে তাদের ফল জানিয়ে দেয়া হবে। ফল পজিটিভ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সরকার এখন ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানামুখী ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তরও (ডিজিএইচএস) রোববার ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য একটি নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে।