এইচএসসি পরীক্ষার আগেই ঝরে পড়ল রাজশাহী বিভাগের ২৬ হাজার ৬৯৮ জন শিক্ষার্থী। ঝরে পড়ার হার ১৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আগামী ২ ডিসেম্বর দেশজুড়ে একযোগে শুরু হচ্ছে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। আসন্ন এ পরীক্ষায় বসা হচ্ছে না এসব শিক্ষার্থীর।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, বোর্ডের অধীনে এ বছর নিয়মিত নিবন্ধিত শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৯ জন। ঝরে পড়েছে ২৬ হাজার ৬৯৮ শিক্ষার্থী। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ ছাত্রী ও ১০ হাজার ১৯৮ ছেলে। তবে এসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার কারণ জানায়নি শিক্ষা বোর্ড।
এদিকে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে রাজশাহী বোর্ডের ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৫ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৭৯ হাজার ৫১৭ জন ছাত্র ও ৭১ হাজার ২২৮ জন ছাত্রী। বিভাগের আট জেলার ২০০ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবারের পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৯ জন। এছাড়া ১০ হাজার ৮৩৯ জন অনিয়মিত, ২৭০ জন মানোন্নয়ন এবং ৪৭ জন প্রাইভেট পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৭ হাজার ৯৯১ জন। এছাড়া মানবিকে ৯৫ হাজার ২৬০, ব্যবসায় শিক্ষায় ১৭ হাজার ৩৬৬, ইসলামিক স্টাডিজে ১০৮, গার্হস্থ্য অর্থনীতিতে ১৪ এবং সংগীতে ছয়জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর আরো জানিয়েছে, এবার রাজশাহী জেলা থেকে পরীক্ষায় বসছেন ১৬ হাজার ৭৩২ ছেলে এবং ১২ হাজার ৯৩০ মেয়েসহ মোট ২৯ হাজার ৬৬২ জন। জেলার ৪০টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছে ১৭৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী।
এরই মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা বোর্ডে। গতকাল কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ড সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও শৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা গ্রহণে কেন্দ্র সচিবদের আহ্বান জানান শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। একই সঙ্গে কেন্দ্র কিংবা কেন্দ্র সচিব পরীক্ষা-সংক্রান্ত অবৈধ কার্যকলাপে জড়ালে বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন।
শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান পরীক্ষাদের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও সফলতা কামনা করেন। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করতে অভিভাবক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন।
