গাজীপুরের টঙ্গীতে ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ডে
মাজার বস্তির অন্তত এক হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার স্টেশনের নয়টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌনে ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গাজীপুর মহানগরের ৫৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, ভোরে ওই বস্তির একটি ঘরে আগুন লাগে। ঘরগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা ও ঢাকার কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয়রাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার ইকবাল হাসান জানান, বস্তিতে ঘরগুলো ঘন হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ভেতরে ঢোকার মতো
কোনো রাস্তাও ছিল না। বস্তির বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নেভাতে হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের তথ্য নেই। বস্তিতে প্রায় দেড় হাজার ঘর ছিল। আগুনে এক হাজারেরও বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ইকবাল হাসান আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সাতদিনের খাদ্য কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। স্থানীয় যারা সামর্থ্যবান তারাও সহযোগিতা করবেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সময়ে আরো সহযোগিতা করা হবে।