সপ্তাহজুড়ে ১৬ শতাংশ দর হারিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারদর ১৬ শতাংশ কমেছে। সময়ে ব্যাংকটির ১৭৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার দিক দিয়ে শীর্ষ চারে অবস্থান করছিল এনআরবিসি ব্যাংক।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে। সময়ে প্রতিদিন গড়ে ব্যাংকটির ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে এনআরবিসির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৩৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময় ইপিএস ছিল টাকা ৯৮ পয়সা। হিসাবে সদ্যসমাপ্ত হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস বেড়েছে ৩৯ পয়সা বা ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল টাকা ৯৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা।

দেশের পুঁজিবাজারে গত ২২ মার্চ এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়। এর আগে ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারিতে বরাদ্দকৃত শেয়ার সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের বিও অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। মার্চ ব্যাংকটির আইপিওর লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির আইপিওর জন্য চাহিদার তুলনায় দশমিক ৭৫ গুণ আবেদন জমা পড়ে। আইপিওর মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এনআরবিসি ব্যাংক। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা। গত - ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির আইপিওর চাঁদাগ্রহণ চলে। গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটির আইপিওতে অনুমোদন দেয়। এর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ প্রতিষ্ঠানটি সরকারি সিকিউরিটিজ কেনা, সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহে খরচ করবে।

২০২১ সালে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৩৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৭৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ২৬ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন