বছরের শেষ প্রান্তিক

স্মার্টফোন বিক্রিতে পুনরুদ্ধারের আশা ভিয়েতনামের

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রিতে বড় ধরনের লোকসান দেখেছিল ভিয়েতনাম। গত বছরের তুলনায় বিক্রি হার ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে শেষ প্রান্তিকে স্মার্টফোন বিক্রির হার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর গিজমোচায়না।

ভিয়েতনামের অধিকাংশ শহরে কভিডের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। ফলে সব ধরনের দোকান, শপিং মল বন্ধ হয়ে যায় কর্মী সংকটের সৃষ্টি হয়। এসবের পাশাপাশি চিপ সংকটও স্মার্টফোন বিক্রির হারে বিরূপ প্রভাব ফেলে। মাসিক হিসেবে জুলাইয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও কভিডের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় পরের মাসেই বিক্রিতে ধস নামে।

ব্র্যান্ডের দিক থেকে তৃতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল স্যামসাং। সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি ৪৯ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গ্যালাক্সি এ১২, এ৩০ এ২২-এর বেশি চাহিদা থাকায় প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষে ছিল। ১৯ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল অপো। মূলত সিরিজের স্মার্টফোন দিয়েই বিক্রি বাড়িয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ১৩ শতাংশ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখে যথাক্রমে তৃতীয় চতুর্থ স্থানে ছিল চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শাওমি ভিভো। প্রান্তিকে রেডমি সিরিজের স্মার্টফোন বিক্রির মাধ্যমে শাওমি তৃতীয় স্থানে উঠে আসে।

মোট বিক্রির মধ্যে সময়ে অনলাইন চ্যানেলে ১৩ শতাংশ স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে ৩৬ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখে শীর্ষে ছিল শাওমি। এরপর ৩৩ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল স্যামসাং। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে মোট বিক্রির ২০ শতাংশ এসেছে ফাইভজি স্মার্টফোন থেকে। সংশ্লিষ্টদের আশা বছর শেষে হার আরো বাড়বে। এরই মধ্যে দেশটিকে ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করেছে বহুজাতিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান ভিয়েটেল। প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষার সময় দশমিক জিবিপিএস স্পিড অর্জনে সক্ষম হয়। চলতি প্রান্তিকেই ফাইভজি স্পেকট্রামের নিলাম শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে ভিয়েতনাম সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, তা সামগ্রিক উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত করেছিল। বিশেষ করে অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার (ওইএম) প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হো চি মিন সিটিতে যতগুলো উৎপাদন কেন্দ্র ছিল, নিষেধাজ্ঞার ফলে তার অধিকাংশই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল কিংবা সীমিত কর্মী দিয়ে পরিচালনা করতে হয়েছিল। সে সময় অনেক প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র কারখানা স্থাপনের বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

কভিড-১৯-এর কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভিয়েতনাম সরকার। পাশাপাশি কর্মীরাও কর্মস্থলে যোগদান করছেন। বিশেষ করে টিকা দেয়ার হার বেড়ে যাওয়ায় দেশটির কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসছে। তাই প্রযুক্তি খাতের সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা বছর শেষে স্মার্টফোন বিক্রি পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন