অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে ফ্রান্স-ইতালির চুক্তি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইতালি ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি দুই দেশের মাঝে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করবে বলে মনে করেন ইতালির প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি। ইতালি ফ্রান্সের চুক্তির ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বলয় আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তিসহ বেশকিছু বিষয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। খবর এপি।

প্রেসিডেন্ট দ্রাঘি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ফলে দুই দেশের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার, গবেষণা শিল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোয় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে। দ্রাঘি চুক্তিকে সত্যিকারের ইউরোপীয় চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই এটি উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। তবে এটি ন্যাটোর বিকল্প কিছু নয়। সার্বভৌমত্ব অর্জনে ইউরোপকে তার সীমান্ত রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

এদিকে এশিয়ায় চিপ সংকট দেখা দেয়ায় বিশ্বজুড়ে সরবরাহ চেইনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকাতে দেশগুলোয় টেকসই জ্বালানির সন্ধান চলছে। বিষয়ে প্রতিরক্ষা ছাড়াও চিপ উৎপাদনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন দ্রাঘি।

একটি বিবৃতি অনুসারে, ইইউভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে মহাকাশযানের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। এর মাধ্যমে ইউরোপে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরিয়ান ভেগা উেক্ষপণে ইতালি ফ্রান্সের মাঝে সহযোগিতার সম্পর্ক দৃঢ় হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিষয় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি ফ্রান্স জার্মানির দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব। ফ্রান্সে কথিত আছে, জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে ইতালির দিকে মুখ ফেরায় ফরাসিরা। তবে চুক্তি কোনোভাবেই ফ্রান্স-জার্মানির সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না। দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের ধরনেও ভিন্নতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চুক্তির একটি অংশ হিসেবে থাকছে ফরাসি-ইতালীয় বেসামরিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ। পাশাপাশি আইন প্রয়োগে সহায়তা করতে একটি অপারেশন সেন্টারও চুক্তির অংশ। এছাড়া প্রতি তিন মাসে দুই দেশের একটি মন্ত্রিসভা পর্যায়ের বৈঠকও আয়োজন করা হবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি ছাড়াও চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় একতা দৃঢ় হবে বলে জানিয়েছেন ইতালীয় প্রেসিডেন্ট।

চুক্তি স্বাক্ষর পর্ব ছাড়াও ভ্যাটিকান শহরে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও দেখা করেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি মাখোঁ। এক ঘণ্টার বৈঠকে কভিড টিকার বিতরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসী সংকট লেবাননের পরিস্থিতি ছিল আলোচ্য বিষয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন