ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলো ফ্রান্স

বণিক বার্তা অনলাইন

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে চিঠি দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফ্রান্স।

আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্ট’র খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের। 

খবরে বলা হয়, ফরাসী প্রেসিডেন্টকে বরিস জনসনের দেয়া চিঠিটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আমরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটিকে অগ্রহণযোগ্য এবং আমাদের আলোচনার বিপরীত বলে মনে করি। ফলে প্রীতি প্যাটেলকে রোববারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দেশটির পরিবহন সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, তারা আশা করেন ফরাসী কর্তৃপক্ষ তাদের তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। 

এদিকে বরিস জনসনের চিঠির ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, অভিবাসন সমস্যা ব্যবস্থাপনার জন্য বরিস জনসনের টুইটটি হালকাভাবে করা হয়েছে। আমরা টুইট বা কোনো চিঠি দিয়ে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি না। আমরা কোনো হুইসেল ব্লোয়ার নই।

গত বুধবার ফ্রান্সের উত্তর উপকূলে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ১৭ জন পুরুষ, সাত নারী ও তিন শিশুর। অভিবাসীদের এ মৃত্যুর ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। এর মধ্যেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে চিঠি দেন বরিস জনসন। চিঠিতে তিনি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে মাখোঁকে আহ্বান জানান। 

এ ছাড়া মাখোঁর প্রতি পাঁচটি পদক্ষেপের রূপরেখা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। রূপরেখাগুলো হলো- এক. ফরাসী সমুদ্র সৈকত থেকে ছেড়ে আসা নৌকা ঠেকাতে যৌথ টহল। দুই. সেন্সর এবং রাডারের মতো আরো উন্নত প্রযুক্তি স্থাপন। তিন. পারস্পরিক সামুদ্রিক টহল একে অপরের আঞ্চলিক জলসীমায় এবং আকাশপথে নজরদারি। চার. দুই দেশের গোয়েন্দা কার্যক্রম আরো সক্রিয় করা এবং পাঁচ. যুক্তরাজ্য-ইইউ রিটার্ন চুক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনার পাশাপাশি ফ্রান্সের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক রিটার্ন চুক্তি।

চিঠিতে তিনি আরো বলেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়াদের ফিরিয়ে নিতে ফ্রান্স একমত হলে ফের একই ধরনের বিপর্যয় এড়াতে এর তাৎক্ষণিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকবে।

এর আগে যুক্তরাজ্যের অভিবাসী ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করেন ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন