সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট থেকে সরাসরি বিদেশে পণ্য রফতানি হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সিলেট থেকে সরাসরি বিদেশে পণ্য রফতানির প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

গতকাল সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

এর আগে তিনি এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাসময়ে কার্গো কমপ্লেক্সের নির্মাণ সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসে হতে যাওয়া গণতন্ত্রের জন্য সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গত অনেক বছরে খুব স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। সব দেশেই কিছু ব্যত্যয় আছে, উইকনেস আছে। গণতন্ত্র সুশাসনের কথা বলে বিভিন্ন দেশকে চাপে রাখতে চাওয়াই আমেরিকার রাজনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার আমন্ত্রিত দেশগুলোর যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ফ্রান্স সুইডেনের মতো পরিণত গণতন্ত্রের দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ভারত, ফিলিপিন্স পোল্যান্ডের নামও। দেশ তিনটিতে গণতন্ত্র ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা বলে আসছেন।

বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, কে দাওয়াত দিল না দিল এগুলো সেকেন্ড বিষয়। গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না, আপনার দেশের লোকই শেখাবে।

আগামী গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকা বিভিন্ন দেশকে কখনো গণতন্ত্রের কথা বলে, কখনো সুশাসনের কথা বলে, কখনো সন্ত্রাসবাদের কথা বলে চাপে রাখতে চায়। সেটাই তাদের রাজনীতি। তাই গণতন্ত্র সম্মেলনে ডাক পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এসব নিয়ে চিন্তা না করে নিজেরা কিভাবে ভালো করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। যদি আমাদের দুর্বলতা থাকে, সেটা আমরা দূর করার চেষ্টা করব।

তিনি আরো বলেন, দুর্বলতা সামনে নিয়ে আমরা দিনে দিনে যাতে আরো ভালো করতে পারি, আমরা ঠিক তাই করব। অন্যের ফরমায়েশে আপনার ভালো হয় না। এগুলো শুধু মুখে বললেই হবে না। এজন্য মনমানসিকতা দরকার। আমাদের দেশে সহনশীলতা আরো বাড়াতে হবে। এটার একটু অভাব পরিলক্ষিত হয়।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেটের ডিসি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ, সিসিক কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ছিলেন মন্ত্রীর সঙ্গে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন