সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার

প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে ডিএসইর

নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্থান ধরে রাখতে পারল না দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আগের সপ্তাহে লেনদেন বাজার মূলধনসহ সব সূচক ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও গত সপ্তাহে আবারো নিম্নমুখী হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। বাজার মূলধনের পাশাপাশি সময়ে এক্সচেঞ্জটির লেনদেন সব সূচক কমেছে। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদরও।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহ শেষে যা কমে দাঁড়িয়েছে লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট হাজার ৩০৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন কমেছে ৬৮৬ কোটি টাকার বেশি বা দশমিক ৮২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও কমেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে হাজার ২৬১ কোটি টাকা। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে গড় লেনদেন ছিল হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির গড় লেনদেন কমেছে ১৩৭ কোটি টাকার বেশি।

লেনদেন বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকই কমেছে। এর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে হাজার ৮৫২ দশমিক শূন্য পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল হাজার ৯১ দশমিক ৮২ পয়েন্টে।

নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৯২ দশমিক শূন্য পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ কমে হাজার ৬০২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৬৯৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।

ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে হাজার ৪৪২ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৪৮০ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৩১৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির আর লেনদেন হয়নি ৪টির।

খাতভিত্তিক লেনদেনে গত সপ্তাহে ব্যাংক খাতের আধিপত্য ছিল। লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩৮ দশমিক শতাংশ নিয়ে শীর্ষে অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। ১০ দশমিক শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। দশমিক শতংশ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বিবিধ খাত। দশমিক শতাংশ নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। এছাড়া পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে প্রকৌশল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। খাত দুটোর লেনদেন ছিল যথাক্রমে দশমিক দশমিক শতাংশ।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল প্রায় ২৫২ কোটি টাকার। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২১ শতাংশ কমে ২০ হাজার ৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২০ হাজার ৭২৩ দশমিক ১২ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে মোট ৩৩৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ২৭০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারদর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন