এশিয়া-প্যাসিফিক

জিডিপিতে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অবদান বাড়ছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক পর্যটন গন্তব্যগুলোয় পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ছবি: রয়টার্স

কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভ্রমণ পর্যটন খাত। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বেশকিছু দেশ। ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এশিয়া-প্যাসিফিকের পর্যটন গন্তব্যগুলোয়। নতুন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এশিয়া-প্যাসিফিকের মোট দেশজ উৎপাদনে চলতি বছর ভ্রমণ পর্যটন খাতের অবদান ৩৬ দশমিক শতাংশ বাড়বে। অর্থের হিসাবে বৃদ্ধি ৫১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ। যেখানে বৈশ্বিক জিডিপিতে খাতের অবদান আগের বছরের তুলনায় ৩০ দশমিক শতাংশ বাড়বে।

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) নতুন একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ২০২২ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনীতিতে ভ্রমণ পর্যটন খাতের অবদান ৩৫ দশমিক শতাংশ বাড়তে পারে। অর্থের হিসাবে বৃদ্ধি ৬৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সমান। চলতি বছরের শেষ নাগাদ অভ্যন্তরীণ ব্যয় ৪৯ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ২৫ দশমিক শতাংশ বাড়বে। আগামী বছর আন্তর্জাতিক ব্যয়েও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাবে। সময় আন্তর্জাতিক ব্যয় বার্ষিক ১৪৮ শতাংশ বাড়বে। অর্থের হিসাবে বৃদ্ধি ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ।

চলতি বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ডব্লিউটিটিসি। পাশাপাশি ২০২২ সালে খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা ১৮ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে। যদিও এটি কভিড-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় কম।

মহামারীর আগে ২০১৯ সালে ১৮ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ এশিয়া-প্যাসিফিকের ভ্রমণ পর্যটন খাতে যুক্ত ছিল। গত বছর মহামারী শুরুর পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো ভ্রমণ পর্যটন খাতকে স্থবির করে দেয়। ফলে বৈশ্বিক পর্যটন খাতের কোটি ৪০ লাখ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে।

ডব্লিউটিটিসির প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সিম্পসন বলেন, আমাদের গবেষণা স্পষ্টভাবে দেখায় যে, বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ পর্যটন খাত পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে। এশিয়া-প্যাসিফিকের খাত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। ফিলিপাইনের মতো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদানে জোর দিয়েছে। পাশাপাশি ভ্রমণ পর্যটন খাতের কর্মীসহ আগামীতে টিকাদান কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে দেশগুলো।

তিনি বলেন, অঞ্চলের চারপাশে উচ্চ টিকার হার এবং আগামী বছর অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক ব্যয় বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থান জিডিপিতে অবদানের ক্ষেত্রে খাত অনেক বেশি ইতিবাচক দেখাচ্ছে।

সমীক্ষা অনুসারে, এশিয়া-প্যাসিফিকের সরকারগুলো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলে জিডিপিতে খাতের অবদান কর্মসংস্থানের সংখ্যা আরো ইতিবাচক হতে পারে। ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে, পূর্ণ ডোজ টিকা নেয়া ভ্রমণকারীদের অবাধে চলাফেরার সুযোগ দেয়া, কভিড পরীক্ষা টিকা নেয়ার প্রমাণপত্রের জন্য ডিজিটাল সমাধান বাস্তবায়ন, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুরোদমে চালু করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত সব টিকাকে স্বীকৃতি দেয়া, বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা এবং উন্নত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা প্রোটোকলের অব্যাহত বাস্তবায়ন, যা ভ্রমণকারীদের আস্থা বাড়িয়ে তুলবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন