গাড়িতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ড্রাইভিং সাপোর্ট সিস্টেম যুক্ত করবে হোন্ডা মোটর। জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এ প্রযুক্তি সম্ভাব্য ত্রুটি ও চালকের তন্দ্রা শনাক্ত করতে পারে। চলতি দশকের শেষ দিকে বাণিজ্যিকভাবে এ প্রযুক্তি গাড়িতে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর মাইনিচি।
এআই সংযুক্ত বিল্ট ইন সিস্টেমের সঙ্গে নতুন গাড়ি আনতে কাজ করছে হোন্ডা। গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি জানিয়েছে, এআই প্রযুক্তি গাড়ির ভেতরে ও বাইরে ক্যামেরার মাধ্যমে রিয়েল টাইমে চালকের চোখের নড়াচড়া ও চারপাশের ডাটা বিশ্লেষণ করে।
পেছন থেকে হঠাৎ করে কোনো গাড়ি আসতে না দেখার মতো ভুলগুলো শনাক্ত করবে এ প্রযুক্তি। পাশাপাশি স্পিকারের মাধ্যমে এটি সিটবেল্ট শক্ত করে বাঁধতে চালককে সতর্ক করতে পারে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি পালস রেট থেকে চালকের ক্লান্তি শনাক্ত করে সিট কম্পনের মাধ্যমে তার তন্দ্রা রোধ করার একটি উপায়ও তৈরি করেছে।
কমিউনিকেশন জায়ান্ট সফটব্যাংকের সঙ্গে হোন্ডা পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহনের অন-বোর্ড ক্যামেরার ফুটেজ ভাগাভাগি করে রাস্তার পরিস্থিতি বোঝার প্রযুক্তিও তৈরি করেছে। এ ফুটেজের মাধ্যমে পথচারীরা কোনো গাড়ির ব্লাইন্ড স্পটে আছে কিনা তাও শনাক্ত করবে। এমন সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সিস্টেমটি স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বাজিয়ে পথচারী ও চালককে সতর্ক করবে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে হোন্ডা সিস্টেমটি বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দিতে চায়। ২০৩০ সালের মধ্যে হোন্ডার মোটরসাইকেল ও গাড়ির সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রাফিক মৃত্যু অর্ধেক কমিয়ে আনতে চায়। ২০৫০ সালের মধ্যে সংস্থাটি ট্রাফিক মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনবে বলেও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।