পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে ‘সহজিয়া’

ফিচার প্রতিবেদক

রাজধানীর কলাকেন্দ্রে শুরু হওয়া প্রদর্শনী দেখছেন দর্শনার্থীরা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

পটুয়া কামরুল হাসান। তার ক্যানভাসে, তুলিতে দ্রোহ-প্রতিবাদের পাশাপাশি ফুটে উঠেছে বাংলার চিরায়ত রূপ-লাবণ্য-নারী। আগামী ডিসেম্বর শিল্পীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর কলাকেন্দ্রে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী। তৈলচিত্র, পোস্টার রঙ, জল রঙ, প্যাস্টেল, কাঠ খোদাই, কালিকলমের রেখাচিত্রসহ মিশ্র মাধ্যমে করা তার কাজ রয়েছে প্রদর্শনীতে। গত বৃহস্পতিবার আয়োজনটির উদ্বোধন করেন শিল্পী রফিকুন নবী।

কলাকেন্দ্রের পরিচালক কিউরেটর শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান বলেন, আমাদের দেশ শিল্পচর্চার ইতিহাসে শিল্পী কামরুল হাসান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রতি তার অবদান, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার শিল্পকর্ম, আমাদের জাতীয় পতাকার নকশা বিভিন্ন লোগো ডিজাইনসহ সবকিছুতে মিশে আছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার চিত্রকর্মে আমরা যেমন প্রতিবাদ, দ্রোহ দেখতে পাই, তেমনি তিনি বাংলার নিসর্গের রূপ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদান নিয়ে কাজ করেছেন। আগামী ডিসেম্বর তার জন্মশতবর্ষ। শিল্পীকে স্মরণ তার কাজকে উদযাপন করতে আমরা আয়োজনটি করেছি। কারণ প্রদর্শনীতে এসে নতুন প্রজন্ম তার চিত্রকর্ম দেখবে এবং তাকে জানবে বলে মনে করি। আমি বলব আয়োজনটি জাতীয় পর্যায় থেকে হওয়া উচিত ছিল।

কামরুল হাসান ১৯২১ সালের ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চারুকলার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টস থেকে। ১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে অন্যতম সহযোগী হিসেবে ঢাকায় গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। স্বাধীনতা পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন শিল্পী।

প্রদশর্নীতে শিল্পীর বিভিন্ন মাধ্যমের ১১০টি শিল্পকর্ম রয়েছে, যা দুজন ব্যক্তিগত শিল্প সংগ্রাহকের সংগ্রহ থেকে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীটি আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন