ন্যাশনাল ব্যাংক এমডির হঠাৎ পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারো প্রকট হয়ে উঠেছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা সংকট। হঠাৎ করেই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ সৈয়দ আবদুল বারী পদত্যাগ করেছেন। সকালে ব্যাংকে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি পদত্যাগপত্র দিয়ে বাসায় ফিরেছেন। যদিও পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আবদুল বারীর পদত্যাগের পর পরই ব্যাংকটির একমাত্র উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) সৈয়দ রইস উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকালই তিনি এমডি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন বলে বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল বারী ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ নাগাদ। হিসাবে মাত্র সাত মাসের মাথায় শীর্ষ নির্বাহীকে পদ ছাড়তে হলো। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদারের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে আবদুল বারী এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর আগেও ব্যাংকটির একাধিক এমডি অপ্রত্যাশিত বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। আবদুল বারীর ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে বলে জানা গেছে।

তবে ন্যাশনাল ব্যাংক এমডির পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি বলে মো. সিরাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র বলেন, দেশের তফসিলভুক্ত সব ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমডি পদ থেকে পদত্যাগেরও কিছু রীতিনীতি আছে। কোনো এমডি পদত্যাগ করতে চাইলে তাকে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে এক মাসের নোটিস দিতে হয়। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি এমন কোনো নোটিস দেননি। এমডি পদ থেকে খেয়ালখুশি বা চাপের মুখে পদত্যাগ করা যায় না। যেহেতু ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি কিংবা ব্যাংকটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো কিছু জানানো হয়নি, তাই বিষয়ে আপাতত আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়াও নেই। তবে ব্যাংকটির কাছে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চেষ্টা করেও শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহূত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পাওয়া সৈয়দ রইস উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, শাহ সৈয়দ আবদুল বারী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সকালে (বৃহস্পতিবার) তিনি অফিসে এসে এমডি দপ্তরের চাবিগুলো বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে আমাকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে নিজ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন