অভিমত: এলডিসি থেকে উত্তরণ

প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে —ড. মোস্তাফিজুর রহমান

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ২৪ নভেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় সুপারিশটি অনুমোদন হয়। বিষয়ে অভিমত জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক বিশেষজ্ঞরা

জীবনমান উন্নয়ন সামর্থ্যের পরিচালক স্বীকৃতি। যে তিনটি দেশ এবার স্বীকৃতি পেয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম অবস্থানে রয়েছে। অর্জন দেশের ব্র্যান্ডিং, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ছাড়াও নানাভাবে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি মাইলস্টোন, এটি কোনো ডেস্টিনেশন নয়। গ্র্যাজুয়েশনের ফলে বহুমাত্রিক অভিঘাত মোকাবেলা করতে হবে। ফলে কাঠামোগত দুর্বলতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। এজন্য প্রযুক্তি দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনির্মাণ করতে হবে। ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা ধরে রাখতে দ্বিপক্ষীয় সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নেগোসিয়েশন সেল গঠন করতে হবে। সেটি বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট থাকবে।

বাংলাদেশ এখন দ্বৈত উত্তরণের চ্যালেঞ্জে রয়েছে জানিয়ে . মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার কারণে ঋণ গ্রহণে সুদহার বেড়েছে। আবার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ফলে বাণিজ্য সুবিধাসহ নানা ধরনের সুবিধাবঞ্চিত হবে। ফলে দ্বৈত উত্তরণের ফলে বড় চ্যালেঞ্জে পড়বে। আবার সময়ে তিনটি পরিচয় বহন করতে হবে। প্রথমত স্বল্পন্নত দেশ, উত্তরণকালীন স্বল্পন্নত দেশ ভবিষ্যৎ উন্নয়নশীল দেশ। ফলে দেশের সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কৌশলগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত জোর দিতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটি) চুক্তির অধীন বাংলাদেশ স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট পায়। বিভিন্নভাবে ওয়েভার দেয়া হয়েছে। এগুলো কীভাবে আরো বেশি সময় রাখা যায় সে বিষয়ে দক্ষতার সঙ্গে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ যোগাযোগ উন্নয়নত্রিমাত্রিক কৌশল হতে হবে প্রধান বিবেচ্য। আর সেখানে অবশ্যই সাশ্রয়, সময় সুশাসন কঠোরভাবে পরিপালন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন