অভিমত: এলডিসি থেকে উত্তরণ

উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করব —ড. এ কে আব্দুল মোমেন

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ২৪ নভেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় সুপারিশটি অনুমোদন হয়। বিষয়ে অভিমত জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক বিশেষজ্ঞরা

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আগামীর প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টার ফলে গত ১২ বছরে যে সাফল্য বাংলাদেশ অর্জন করেছে, তার ফলে আমরা সব সূচকেই পাস করেছি। শুধু পাস নয়, পাসের অনেক ঊর্ধ্বে আমরা। তবে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরে আমাদের বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা এলডিসি হিসেবে অনেক সুবিধা পেতাম। আমরা অস্ত্র ছাড়া যেকোনো পণ্য সস্তায় বিক্রি করতে পারতাম। আগামীতে সুবিধাগুলো থাকবে না। ভবিষ্যতে যাতে সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে পারি, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আমাদের জিএসপি সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আমরা প্রযুক্তির বিষয়ে যে সুবিধা পেতাম, তা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬-এর পরে আরো ১২ বছর সুবিধাগুলো বাড়ানোর জন্য বলেছে। জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে আমাদের বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) অথবা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা করছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের কিছু প্রতিবন্ধকতা মোটামুটিভাবে সামলাতে পারব। এলডিসিতে না থাকার কারণে আমাদের বিদেশী ঋণের সুদহার বেড়ে যাবে। নিয়ে আমরা সতর্ক। আগামীর প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় আমরা যে পণ্যগুলো বিক্রি করি, তার মূল্য বেশি দেয়ার জন্য আমরা বিদেশীদের বলছি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, আমাদের বিপণন সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন