স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ধারণকৃত দুর্লভ ছবির প্রদর্শনী

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আয়োজনে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ধারণকৃত দুর্লভ ছবিসমূহের প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ, এমপি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারি-- গতকাল চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চিত্র প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন। সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ সেনা, নৌ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যজন, লেখক সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন বাঙালির বীরত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই চিত্র প্রদর্শনীয় আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সেনা, নৌ বিমান বাহিনীর সদস্যরা মিলে সমন্বিত আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। জন্ম নেয় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অর্জিত হয় আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়। সশস্ত্র বাহিনীর অসংখ্য বীর সদস্যসহ লাখো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।

তিনি আশা করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে একতা দেশপ্রেমের শিক্ষা আমরা অর্জন করেছি তা চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। এছাড়া চিত্র প্রদর্শনী মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলি এবং আদর্শ তার সংগ্রামের কথা নতুন প্রজন্মদের মাঝে তুলে ধরবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গৌরবগাথা আজকের আগামী প্রজন্মের কাছে হয়ে ওঠে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ভবিষ্যতে দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নেতৃত্ব প্রদান করবে।

চিত্র প্রদর্শনীটি ২৫-২৭ নভেম্বর প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আইএসপিআর

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন