তৃতীয় প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসায়িক বিনিয়োগ কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়িক বিনিয়োগ কমে গেছে। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের প্রভাবে বহু প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। খবর রয়টার্স।

জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যৎ ব্যয়ের পরিকল্পনা অর্থনীতিতে অনেকটা স্থিতিস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে। কভিডজনিত বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাত্রা দ্রুতই লক্ষ্য স্পর্শ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ কমেছে দশমিক শতাংশ। সময় অস্ট্রেলিয়ায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় হাজার ২৭০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার ( হাজার ৩৫৭ ইউএস ডলার) এর আগে বাজার পূর্বাভাস অনুযায়ী মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ শতাংশ কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।

২০২২ সালের জুন নাগাদ শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের জন্য মূলধন ব্যয়ের পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য দেশটিতে মূলধন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার। অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণার তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা বেশি এবং ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলায় সক্ষমতার ইংগিত প্রদান করে।

বিআইএস অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ সারাহ হান্টার জানান, মূলধন ব্যয়ের পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় বোঝা যায়, ২০২১ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ ১০ শতাংশেরও বেশি বাড়বে। পরিসংখ্যান মহামারীপূর্ব তিন বছরের মাত্রাকে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নির্মাণ, পাইকারি ব্যবসা পরিবহন, পোস্টাল গুদাম খাত এতে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে থাকবে, যা অনলাইন খুচরা বিক্রয়ে স্থানান্তর হওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিষেবা। এটিকে সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি প্রতিফলনও বলা চলে।

তৃতীয় প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার মূলধন ব্যয়ে পিছিয়ে যাওয়ার অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে বিভিন্ন কারখানা যন্ত্রাংশ খাতে। একই সঙ্গে খুচরা বিক্রি শিক্ষা খাতও সময় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মহামারীসংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে।

আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার মোট দেশীয় পণ্য (জিডিপি) সংক্রান্ত তথ্যে উল্লেখযোগ্য সংকোচন দেখা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তৃতীয় প্রান্তিকে সিডনি মেলবোর্নে কভিড-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ স্টে-অ্যাট-হোম নীতির ফলে ভোক্তা ব্যয় কমে যাওয়ায় এমনটা ঘটবে।

বেতন-ভাতাসংক্রান্ত পৃথক আরেক তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবরের শেষ দুই সপ্তাহে দেশটিতে নিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জন্য এটি একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন