জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ

বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। গতকাল সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় সুপারিশটি অনুমোদন হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এক বিবৃতিতে অনুমোদনকে ঐতিহাসিক অর্জন বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় এটিকে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের জাতির পিতা, মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী তার বিবৃতিতে আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন যাত্রা, এটি তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সাফল্যের অংশীদার দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।

এদিকে এলডিসি উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদনের বিষয়টি এক টুইট বার্তায় জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১-এর বাস্তবায়ন। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের চেয়ে আর ভালোভাবে কীভাবে হতে পারত!

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ বা গ্র্যাজুয়েশনের মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল লাওসও সে সময় এলডিসি থেকে বের হওয়ার সুপারিশ পায়। সিডিপির পরপর দুবারের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে নির্দিষ্ট মান অর্জন করলে ধরনের সুপারিশ করা হয়।

সিডিপি সে সময় একই সঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় দেয়ার সুপারিশ করে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সামাজিক পরিষদ এরই মধ্যে সিডিপির সুপারিশ অনুমোদন করেছে। পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালে কার্যকর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তুতিকালীন সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত বাংলাদেশের সব সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরো তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন