ইইউর চতুর্থ দেশ

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে পর্তুগাল

বণিক বার্তা ডেস্ক

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চতুর্থ দেশ হিসেবে পদক্ষেপ নিল দেশটি। পরিবেশকর্মীরা দেশটির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে দেশের সর্বশেষ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গাছ পোড়ানোর সম্ভাব্য রূপান্তর নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা। খবর এপি।

গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে পর্তুগিজ রাজধানী লিসবনের ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পেগো বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বেলজিয়াম ২০১৬ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়। গত বছর অস্ট্রিয়া সুইডেনও পদক্ষেপ নেয়। সবশেষ চতুর্থ দেশ হিসেবে পর্তুগালও একই পথে হাঁটল।

পতুর্গালে কয়লা, জ্বালানি তেল বা গ্যাসের নিজস্ব কোনো উৎস নেই। চাহিদার পুরোটাই আমদানি করা হয়। সাম্প্রতিক দশকগুলোয় পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে দেশটি।

জলবায়ু সংস্থা ইউরোপ বিয়ন্ড কোলের ক্যাম্পেইন পরিচালক ক্যাথরিন গুটম্যান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা ইউরোপজুড়ে দ্রুত কয়লার ব্যবহার বন্ধে উৎসাহিত করছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ইউরোপে জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা। 

এক বিবৃতিতে গুটম্যান বলেন, এখন চ্যালেঞ্জ হলো বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় জীবাশ্ম গ্যাস বা টেকসই বায়োম্যাস দিয়ে কয়লা প্রতিস্থাপনের মতো ভুল না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

পর্তুগিজ পরিবেশ সংস্থা জিরোর প্রধান ফ্রান্সিসকো ফেরেরা বলেন, গ্রিনহাউজ গ্যাসের সবচেয়ে বড় উৎস থেকে নিজেদের মুক্ত করা পর্তুগালের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে কয়লার পরিবর্তে গাছ পোড়ানোর সম্ভাবনার কারণে পুরো বিষয়টিই বিফলে যেতে বসেছে। কয়লার ব্যবহার বন্ধ করে তার চেয়ে একটু কম নিঃসরণযুক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা স্পষ্টতই কোনো সমাধান নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন